চার দফার পরিবর্তে এক দফা দাবিতে কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। রবিবার (৭ জুলাই) রাত ৮ টায় রাজধানীর শাহবাগ চত্বরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেন।
এক দফার ঘোষণায় বলা হয়, সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে কোটা বাতিল করে আইন পাশ করতে হবে। আর এই দাবি বাস্তবায়নে পূর্বের ন্যায় বাংলা ব্লকেডের নামে সব অবরোধ এবং পূর্ব ঘোষিত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের আদালত দেখিয়ে লাভ নেই। আমরা সংবিধান মেনে কাজ করার দাবি জানাই। আমরা আশা করি প্রধানমন্ত্রী সংসদে বসে যৌক্তিক কোটা নির্ধারণ করবেন। অন্যথায় আমরা চাই শতভাগ কোটা বাস্তবায়ন করা হোক।
মেধাবীরা দেশ ছেড়ে চলে যাক। যে দেশে মেধাবীদের মূল্যায়ন নেই, সেই দেশে তাদের থাকারও প্রয়োজন নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘সোমবার থেকে ধর্মঘট ও ক্লাস পরীক্ষা বর্জন চলবে। দুপুর সাড়ে ৩ টা থেকে কেন্দ্রীয় লাইবেরিতে ব্লকেট কর্মসূচি পালন করা হবে।
আমরা কারওয়ান বাজার ছাড়িয়ে এবার ফার্মগেট পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আইনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাদের সঙ্গে সংলাপ করতে চেয়েছে। আমরা আর কোনো সংলাপ করতে চাই না। আমাদের বলা হয়েছে এটি আদায়ের বিষয়। আমরা এ বিষয়ে কথা বলতে চাই না।
সরকারকে আমরা আরেকটা পরিপত্র জারি করার দাবি জানাই।’
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ককে আলোচনার জন্য ডেকে নিয়ে যায় পুলিশ। তারা হলেন নাহিদ হাসান, সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ। তবে আলোচনা ছাড়াই ফিরে আসেন তারা।
এ জাতীয় আরো খবর..