নবনির্বাচিত স্পিকার ওম বিড়লা একটি বিবৃতি পাঠ করার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র প্রতিবাদ শুরু করেন বিরোধীরা। এই হট্টগোলের পর বুধবার (২৬ জুন) লোকসভার অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে। লোকসভার বৈঠক আবার বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বসবে।
বিড়লা তার বিবৃতিতে বলেন, ‘১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থা জারি করার সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাই।
সেই সঙ্গে যারা জরুরি অবস্থার বিরোধিতা করেছিলেন তাদের প্রশংসা করি।’ তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন ভারতের ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায়। এই দিনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন।
তিনি আরো বলেন, ভারত সারা বিশ্বে গণতন্ত্রের মা হিসেবে পরিচিত।
ভারতে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সবসময়ই সমর্থন করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সবসময় রক্ষা করা হয়েছে। আর ইন্দিরা গান্ধী এমন একটি দেশে একনায়কত্ব চাপিয়েছিলেন। সে সময় ভারতের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে চূর্ণ করা হয়েছিল।
শুধু তা-ই না, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে শ্বাসরোধ করা হয়েছিল।
আট মিনিটের দীর্ঘ বিবৃতি পাঠ শেষে জরুরি অবস্থা জারির বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণের পর স্পিকার সেই সময় প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দুই মিনিট নীরবতা পালনের ডাক দেন। তার পরেই সারা দিনের মতো মুলতবি করে দেন লোকসভা।
সোমবার ১৮তম লোকসভার প্রথম অধিবেশন শুরু হওয়ার ঠিক আগেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জরুরি অবস্থার কথা বলেছিলেন। জরুরি অবস্থার কথা স্মরণ করার জন্য এই সপ্তাহে সারা দেশে অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে বিজেপি।
বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা রাহুল গান্ধীকে সেই ঘটনার জন্য দেশের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছেন।
সূত্র : দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
এ জাতীয় আরো খবর..