বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ বলেছেন, বিদ্যুৎ খাতে শেখ হাসিনার যুগান্তকারী উন্নয়নের কারণে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দেশের প্রায় ১৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, অর্থাৎ প্রায় ২১ লাখ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।
জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে তিনি একথা বলেন।
ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত নিয়ে মহল বিশেষ নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। অথচ সারা বিশ্বে প্রশংসিত শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রথম স্তম্ভ হিসেবে কাজ করেছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে তার যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
বঙ্গবন্ধু কন্যা জানতেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে ১% জিডিপি প্রবৃদ্ধির জন্য প্রায় ২% জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি প্রয়োজন। সেই কঠিন কাজটিই শেখ হাসিনা করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকারের বিদ্যুৎ প্রকল্প গুলোর কারণে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ ২১ লাখ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। মাল্টিলেটারেল এজেন্সিগুলো এবং আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন, বাংলাদেশের মতো অর্থনীতিতে দিনে গড়ে ১২-১৪ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকলে ন্যূনতম ৪% জিডিপি লস হয়।
বিএনপি-জামায়াত সরকার এবং পরবর্তীতে ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় প্রতিদিন গড়ে ১৪-১৫ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকতো। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে শেখ হাসিনার সরকারের যুগান্তকারী উন্নয়নের ফলে এই লোডশেডিং থেকে জাতি মুক্তি পায়। সেই হিসেবে ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সময়ে জিডিপির বার্ষিক নূন্যতম ৪% লস ধরলে এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ প্রায় ২১ লাখ কোটি টাকা।
এ জাতীয় আরো খবর..