সিউলের নৌবাহিনী জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবেলার লক্ষ্যে যৌথ সামরিক মহড়ার জন্য একটি মার্কিন বিমানবাহী রণতরি শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছেছে।
এই সপ্তাহে পিয়ংইয়ংয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের স্বাক্ষরিত প্রতিরক্ষা চুক্তির প্রতিবাদে দক্ষিণ কোরিয়া রুশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করার এক দিন পর এ খবর এলো। দুই দেশের একটিতে হামলা হলে একে অপরের সাহায্যে এগিয়ে আসার অঙ্গীকার চুক্তিটিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, মার্কিন নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরি থিওডোর রুজভেল্ট ২২ জুন সকালে বুসান নৌঘাঁটিতে পৌঁছেছে।
এর মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র জোটের শক্তিশালী সম্মিলিত প্রতিরক্ষা ভঙ্গি ও উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান হুমকির জবাব দেওয়ার জন্য দৃঢ় সংকল্প প্রদর্শিত হয়।
ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্ট এই মাসে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শনে প্রায় সাত মাস আগে আরেকটি মার্কিন বিমানবাহী রণতরি—ইউএসএস কার্ল ভিনসন দক্ষিণে সফর করেছিল। পিয়ংইয়ং সব সময় এ রকম সম্মিলিত সামরিক মহড়াকে আক্রমণের মহড়া হিসেবে নিন্দা করেছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান তাদের যৌথ প্রশিক্ষণ মহড়া প্রসারিত করেছে এবং উত্তরকে আটকাতে এই অঞ্চলে কৌশলগত মার্কিন সামরিক সম্পদের দৃশ্যমানতা বাড়িয়েছে। অন্যদিকে উত্তর কোরিয়া নিজেকে ‘অপরিবর্তনীয়’ পারমাণবিক অস্ত্র শক্তি হিসেবে ঘোষণা করেছে।
রণতরিটি পৌঁছনোর এক দিন আগে সিউল সতর্কীকরণ গুলি চালানোর কথা জানিয়েছিল। তাদের অভিযোগ ছিল, উত্তর কোরিয়ার সেনারা এই মাসে তৃতীয়বারের মতো অল্প সময়ের জন্য ভারী সুরক্ষিত সীমান্ত অতিক্রম করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর তথ্য অনুসারে, উত্তর কোরিয়ার সেনারা সম্প্রতি আরো স্থল মাইন বিছানো, কৌশলগত রাস্তাগুলোকে শক্তিশালী করা এবং সীমান্তের কাছে ট্যাংকবিধ্বংসী বাধা মোতায়েনের মতো কার্যকলাপে নিযুক্ত রয়েছে।
সূত্র : এএফপি
এ জাতীয় আরো খবর..