বাংলাদেশে ৯২ শতাংশ শিশু ‘সেকেন্ড হ্যান্ড স্মোকিং’ বা পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে। গত ১৯ জুন নিকোটিন অ্যান্ড টোব্যাকো রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষকদের মতে, ঢাকায় পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হওয়ার মাত্রা বেশি। গবেষণা প্রতিবেদনটিতে ঢাকায় অনিয়ন্ত্রিত ধূমপানের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা ও পাকিস্তানের করাচিতে শিশুদের পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হওয়ার মাত্রা মূল্যায়নে গবেষণাটি করা হয়।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে তামাকের ব্যবহার ৩৫.৩ শতাংশ। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ধূমপানের হার ১৮ শতাংশ। বাংলাদেশ উন্মুক্ত স্থানে ধূমপান নিষিদ্ধের আইন করা হলেও আইনের প্রয়োগ দুর্বল।
এই পটভূমিতে গবেষকদলটি ঢাকার ৩৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৯ থেকে ১৪ বছর বয়েসী এক হাজার ৩৬৮ জন শিশুর ‘সেকেন্ড হ্যান্ড স্মোকিং’য়ে শিকার হওয়া নিয়ে জরিপ পরিচালনা করে। এর অংশ হিসেবে শিশু ও তাদের বাড়ির বাসিন্দাদের লালা পরীক্ষা, ধূমপানের ধরন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, যে শিশু প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ীদের সঙ্গে বসবাস করে তাদের মধ্যে পরোক্ষ ধূমপানের মাত্রা বেশি।
গবেষকদলের প্রধান যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ইয়র্কের অধ্যাপক কামরান সিদ্দিকী বলেন, “শিশুদের ‘সেকেন্ড হ্যান্ড স্মোকিংয়ের’ শিকার হওয়া থেকে রক্ষা করতে ধূমপানমুক্ত বাড়ি এবং গাড়ির পক্ষে কথা বলা জরুরি।
বিশেষ করে, শিশুরা প্রায়ই যায়, এমন খেলার মাঠ, পার্ক এবং মেলা প্রাঙ্গণ—ধূমপানমুক্ত করা জরুরি।”
প্রতিবেদনটির অন্যতম রচয়িতা এবং এআরকে ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক রুমানা হক বলেন, ‘এই গবেষণার ফলাফল সত্যি উদ্বেগজনক। যদি আমরা শিশুদের পরোক্ষ ধূমপানের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে না পারি, তাহলে তাদের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়বে। পরবর্তী জীবনে তারা শিক্ষাক্ষেত্রে নিম্নমান এবং উচ্চ হারে ধূমপানের ঝুঁকিতে পড়বে।’
এ জাতীয় আরো খবর..