×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-২০
  • ৮৬ বার পঠিত
ঈদের টানা ছুটি শেষ হলেও সৈকত শহর কক্সবাজারে এখনও ভ্রমনপিপাসুদের উপচে পড়া ভিড়। তিন কিলোমিটার সাগরতীরজুড়ে শুধু মানুষ আর মানুষ। যারা মেতে রয়েছেন বালিয়াড়ি আর উত্তাল সাগরের ঢেউয়ে। আর লাখো ভ্রমণপিপাসুর আগমনে খুশি সৈকতপাড়ের ব্যবসায়ীরা। চাঙাভাব ফিরেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব ব্যবসায়।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বেলা ১২টা; কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে যেদিকে চোখ যায় সেদিকে মানুষ আর মানুষ। বালিয়াড়ি থেকে শুরু করে নোনাজল সবখানে মানুষে কানায় কানায় পূর্ণ। যারা ঈদের ছুটি কাটাতে ছুটে এসেছে বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ সমুদ্রসৈকতে।

বড় বড় ধেয়ে আসছে উপকূলে। এসব ঢেউ উপকূলে আসতেই লাফিয়ে অতিক্রম করছে পর্যটকরা। মেতেছেন নোনাজল নিয়ে। একই সঙ্গে বালিয়াড়িতে ব্যস্ত ছবি কিংবা সেলফি তুলতে।

লাবণ্য নামের পর্যটক বলেন, ‘ঈদে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে না এলে ভালো লাগে না। তাই স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে ৩ দিনের জন্য কক্সবাজার আসা। এখন সৈকতে সমুদ্রস্নান করতে এসেছি। সাগর উত্তাল ভয়ও লাগছে।’

আরেক পর্যটক নুরুল আমিন বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে উত্তাল সাগর দেখতে বেশ ভালো লাগে। উত্তাল সাগরের বড় বড় উপভোগ করছি। সাগর একটু শান্ত হলেই গোসলে নামব।’

ইফতি নুর নামের পর্যটক বলেন, ‘পরিবার-পরিজনকে একটু সময় দেয়ার জন্য কক্সবাজারে ছুটে আসা। শনিবার রাতে আবার ঢাকায় ফিরে যাব। এখন ছুটি নিয়ে সবার সঙ্গে মজা করছি।’

ঈদের দিন ও পরদিন কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটকের আগমন ছিল কিছুটা কম। কিন্তু ঈদের টানা সরকারি ছুটি শেষ হতেই সৈকতে বেড়েছে পর্যটকের আগমন।

সৈকতে রয়েছে ৫শ’র বেশি ফটোগ্রাফার, ২৬টি ঘোড়া, অর্ধ-শত বিচ বাইক ও ৩০ টির বেশি জেড স্কি। পর্যটকের চাপ চাঙা তাদের ব্যবসা।

জেড স্কি চালক সোনা মিয়া বলেন, ‘এত পর্যটক আসবে চিন্তাও করেনি। এখন পর্যটকে ভরপুর কক্সবাজার। জেড স্কির ব্যবসাও ভালো হচ্ছে।’

ফটোগ্রাফার ছফুর বলেন, ‘পর্যটকদের ছবি তুলে গত ২দিনে ৬ হাজার টাকা আয় করেছি। পর্যটক কক্সবাজার আসেেছ তাই ব্যবসা হচ্ছে।’

বিচ বাইক চালক মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ‘ঈদের পরদিন একটু ব্যবসা কম হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় দিন থেকে প্রচুর পর্যটক এসেছে এবং অনেকে বিচ বাইকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যার কারণে প্রতিদিন ৪-৫ হাজার টাকা আয় হচ্ছে।’

বর্ষা মৌসুম, সাগর উত্তাল। তাই সমুদ্রস্নানে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছে লাইফগার্ড কর্মী। নোনাজল থেকে শুরু করে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার সবখান থেকে চলছে বিশেষ নজরদারি।

সি সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র কর্মী মোহাম্মদ শুক্কুর বলেন, ‘বর্ষা মৌসুম। সাগর উত্তাল। একই সঙ্গে ৩ নম্বর সংকেতও দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। তাই পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। টাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষণ, বালিয়াড়িতে টহল ও বোট নিয়ে পানিতে নজরদারি রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি।’

পর্যটন সংশ্লিষ্ট জানিয়েছে, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে লাখো পর্যটকের সমাগম হয়েছে। এছাড়া পর্যটকরা ভিড় করছে ইনানী, হিমছড়ি ও পাতুয়ারটেক সমুদ্রসৈকতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat