বিগত বছরগুলোর মতো চামড়ার দাম নিয়ে এবারও অসন্তুষ্ট খুচরা বিক্রেতা ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার অভিযোগ তাদের। পাইকারি ক্রেতারা বলছেন, লবণের দাম নাগালে থাকলেও অন্যান্য খরচ বাড়ায় চামড়ার বেশি দাম দিতে পারছেন না তারা।
সোমবার (১৭ জুন) রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড়ে কথা হয় পশুর চামড়ার মৌসুমি ও খুচরা বিক্রেতা এবং পাইকারি ক্রেতাদের সঙ্গে।
নিষিদ্ধ জানার পরও কিছুটা লাভের আশায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সায়েন্স ল্যাবের অস্থায়ী এ বাজারে চামড়া নিয়ে এসেছেন খুচরা বিক্রেতা ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। সকাল ১০টায় শুরু হলেও বেচাকেনা জমে ওঠে দুপুর নাগাদ।
শ্যামলী থেকে এখানে ২৭টি চামড়া নিয়ে এসেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ী মো. সেলিম। বড় লাভের আশা থাকলেও তা হয়ে ওঠেনি এ মৌসুমি বিক্রেতার। তিনি বলেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী চামড়ার দাম মিলছে না।
রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায়, বড় আকারের প্রতিটি গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ৬০০-৮০০ টাকা দরে। মাঝারি চামড়ার দাম উঠেছে সর্বোচ্চ ৫০০-৬০০ টাকা। আর খাসি ও বকরির চামড়া বিক্রি হয়েছে ২৫-৩০টাকায়। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বলছেন, কেউ সামান্য লাভে, কেউ আবার লোকসানেই চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন।
আর পাইকারি ক্রেতারা বলছেন, লবণের যথেষ্ট সরবরাহ ও দাম নাগালের ভেতর থাকলেও অন্যান্য খরচ বাড়ায় কম দামেই চামড়া কিনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
গেলো বছরের চেয়ে এবার সর্বোচ্চ ৫ টাকা বাড়িয়ে রাজধানীতে গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫-৬০ টাকা, আর রাজধানীর বাইরে বাড়ানো হয় প্রতি বর্গফুটে ৭ টাকা।
এ জাতীয় আরো খবর..