×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-১৬
  • ১১৬ বার পঠিত
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে রদবদল এনেছে বিএনপি।২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত সবশেষ কাউন্সিলের পর কেন্দ্রীয় কমিটিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনল বিএনপির হাইকমান্ড। এছাড়া আরও চমক অপেক্ষা করছে কমিটি ঘিরে। 

শনিবার ৩৯ পদে নেতাদের কাউকে কাউকে নতুন যুক্ত করা হয়েছে, আবার কারও কারও পদ পরিবর্তন করা হয়েছে।ভাইস চেয়ারম্যান ও যুগ্ম মহাসচিবের মতো সাংগঠনিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করা হয়েছে কাউন্সিল ছাড়াই। 

বিএনপিতে ডাম্পিং জোন হিসেবে পরিচিত হচ্ছে দলের উপদেষ্টা কাউন্সিল।এবার সেই পদে এমন কিছু নেতাকে যুক্ত করা হয়েছে যাদের সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা রয়েছে; জনমতও রয়েছে।এ কারণে উপদেষ্টা পদ পাওয়া নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

আবার কিছু নেতাকে অতি মূল্যায়ন করা হয়েছে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ। বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চেৌধুরী এ্যানি রাজপথের কর্মী। তাকে যুগ্ম মহাসচিব করা সঠিক সিদ্ধান্ত সবাই একবাক্যে বলছেন।কিন্তু যুগ্ম মহাসচিব থেকে যাদের উপদেষ্টা করা হয়েছে তাদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে বলে দলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন। তবে এ বিষয়ে অনেকেই মুখ খুলতে রাজি হচ্ছেন না।

গতকালের রদবদলে পদোন্নতি পাওয়া তিন যুগ্ম মহাসচিবের একজন শহীদ উদ্দীন চৌধুরী। তিনি বলেন, আরও পুনর্গঠন হবে, এই পুনর্গঠন সাময়িক। এরপর হয়তো কাউন্সিল হবে।

দলের একটি অংশ মনে করছে, যুগ্ম মহাসচিবের পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে মাহবুবউদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সরোয়ার, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও হারুন অর রশিদের মতো সিনিয়র ও ত্যাগী রাজনীতিবিদদের ছোট করা হয়েছে। কারণ সবাই জানে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদে কোনো কাজ থাকে না। অথচ যুগ্ম মহাসচিব আলাল রাজপথে সব সময় সক্রিয় ছিলেন, তার বিরুদ্ধে দুইশ’র উপরে মামলা রয়েছে এবং সাজাও দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ তিন মাসেরও বেশি সময় কারাগারে থেকে গত জানুয়ারিতে মুক্তি পান। 

বরিশাল বিএনপির দিকপাল সরোয়ারও জেল খেটেছেন, তার বিরুদ্ধেও অনেক মামলা রয়েছে। সব কর্মসূচিতেও সক্রিয় ছিলেন। হারুন অর রশিদ দলের সিদ্ধান্ত মেনে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রায় এক বছর আগে সংসদ-সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। আন্দোলনের ওই সময় এই সিদ্ধান্ত সরকারকে চাপে রাখতে কিছুটা হলেও কাজে দিয়েছিল। 

আবার রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে যথাযথ সম্মান দেওয়া হয়নি। তিনি দীর্ঘদিন জেল খেটেছেন, মাঠেও সক্রিয় ছিলেন। এসব নেতাদের দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে দলের প্রতি অনেক ত্যাগ রয়েছে। 

এছাড়া রদবদলে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদে জ্যেষ্ঠতা রীতি মেনে করা হয়নি। এ নিয়ে দলটির একটি অংশের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। যদিও এ বিষয়ে নতুন পদ পাওয়া উপদেষ্টাদের মধ্যে কয়েকজন যুগান্তরকে বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাই সঠিক। তারা চান দল ভালো থাকুক।

মাঠের ও আস্থাভাজনদের বেছে নিল হাইকমান্ড

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আবদুস সালাম আজাদসহ কাউকে কাউকে কমিটিতে অতিমূল্যায়ন করা হয়েছে।

গাজীপুর জেলা বিএনপির সম্মেলনে কাজী সাইয়েদুল আলম সাধারণ সম্পাদক পদে কাউন্সিল করে ভোটে হারেন। কয়েক মাস আগে তাকে সহসাংগঠনিক সম্পাদক পদ দেওয়া হয়। এবার তাকে সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) করা হলো। 

ছাত্রদল নেতা আমীরুল ইসলাম খানকে সহসাংগঠনিক সম্পাদক করে রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে সৈয়দ শাহীন শওকত খালেককে। 

কমিটিতে রদবদল নিয়ে কমিটিতে নতুন উপদেষ্টা পদ পাওয়া মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ভালো-খারাপ কিছুই বলব না। যত দিন বেঁচে আছি, বিএনপির কর্মী হিসেবে কাজ করে যাব।

ক্ষুব্ধ অনেকেই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

জানা গেছে, বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটিতেও পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে।সেই সঙ্গে যুগ্ম মহাসচিবের দুটি পদ শূন্য রাখা হয়েছে। সেই দুটিও শিগগিরই পূরণ করবেন দলের হাইকমান্ড।এছাড়াও আরও চমক অপেক্ষা করছে কেন্দ্রীয় কমিটিতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat