দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কালো টাকা। ঘুষ, দুর্নীতি, চোরাচালান কিংবা চাঁদাবাজির মতো অবৈধ আয়ের পাশাপাশি বৈধ আয়ে কর ফাঁকির ব্যাপক প্রবণতার কারণে অর্থনীতিতে কালো টাকার দাপট থামছে না। বিভিন্ন সময়ে সহজ শর্তে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হলেও তা গ্রহণে আগ্রহী হননি অবৈধ অর্থের মালিকরা। বরং সমাজ, রাজনীতি ও ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় তাদের কাছে কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন বৈধ উপার্জনকারী ও নিয়মিত করদাতারা। এ অবস্থায় সমাজ ও রাষ্ট্রে নৈতিকতা প্রতিষ্ঠার স্বার্থে কালো টাকার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।
টাকা কেন কালো: নোটের রং নয়, আয়ের উৎস ও কর পরিশোধের ভিত্তিতে ঠিক হয় টাকা কালো নাকি সাদা। ঘুষ, দুর্নীতি, চোরাচালান, চাঁদাবাজি, কালোবাজারি, মাদক ব্যবসা, আমদানি-রপ্তানিতে জালিয়াতিসহ বেআইনি কাজের মাধ্যমে যে অর্থ আসে, তা-ই কালো টাকা।
বৈধভাবে আয় করে ঠিকমতো কর না দিলেও সেই টাকা কালো হয়ে যায়। আবার বৈধ খাতে কারসাজির মাধ্যমেও কালো টাকা উৎপাদিত হয়। যেমন জমি কেনাবেচায় যে দামে রেজিস্ট্রেশন হয়, প্রকৃতপক্ষে বিক্রি হয় তার চেয়ে অনেক বেশি দামে। এক্ষেত্রে কাগজপত্রে গোপন করা অংশটি অপ্রদর্শিত বা কালো টাকা।
অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত ‘কালো টাকা ও অর্থ পাচার: বাংলাদেশে দুর্নীতির রাজনৈতিক অর্থনীতি’ শীর্ষক গবেষণা প্রবন্ধে কালো টাকার প্রধান পাঁচটি পথ উল্লেখ করেছেন। সেগুলো হলো—সরকারি তহবিল, স্টোর ও পতিত সম্পত্তি আত্মসাৎ, তহবিল তছরুপ ও জোরপূর্বক দখল এবং আমলাদের পক্ষ থেকে পরিতোষণ; চোরাচালান, মাদক ব্যবসা, অস্ত্র ব্যবসা, মানব পাচার ব্যবসা, অর্থ পাচার ব্যবসা; মজুতদারি, কালোবাজারি, বিদেশি মুদ্রার অবৈধ ব্যবসা, আমদানিতে ওভার ইনভয়েসিং, রপ্তানিতে আন্ডার ইনভয়েসিং ইত্যাদি ব্যবসার সঙ্গে সম্পর্ক; জাতীয়করণ হওয়া অথবা সরকারি এবং বেসরকারি কমার্শিয়াল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গৃহীত বিশাল পরিমাণের ঋণ আত্মসাৎ ও তা পরিশোধ না করা; রাষ্ট্রের সহায়তায় বিদেশি অর্থায়নে কোটি কোটি ডলার প্রকল্পের (কমিশন এজেন্সি, বিভিন্ন ক্রয় কাজের দালালি এবং পারমিট লাইসেন্স হস্তান্তর, নিজের পক্ষে আইন প্রয়োগ এবং পণ্যদ্রব্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও সিন্ডিকেট গঠনের মাধ্যমে অনুপার্জিত আয়।
অর্থনীতিতে কালো টাকার দাপট
বাংলাদেশকে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এডিবি
তার মতে, ‘কালো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হলো সেসব লেনদেন, যা দেশের প্রচলিত নিয়মকানুন অনুযায়ী বিধিসম্মত নয়। কালো অর্থনীতির লেনদেন অনিয়ন্ত্রিত, করারোপিত নয় এবং এগুলো পরিমাপ করা হয় না, কারণ ওইসব লেনদেন নথিভুক্ত নয়।’
কালো টাকার পরিমাণ:
দেশে কালো টাকার পরিমাণ কত, তা নিয়ে নানা মুনির নানা মত রয়েছে। ২০১১ সালে ‘বাংলাদেশের অপ্রকাশ্য অর্থনীতির আকার: একটি অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ’ শিরোনামে সমীক্ষা করেছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। সেই সমীক্ষা অনুযায়ী, ১৯৭৩ সালে দেশে কালো টাকার পরিমাণ ছিল জিডিপির ৭ শতাংশের সমান। সেখান থেকে ধারাবাহিকভাবে বেড়ে ২০১০ সালে জিডিপির ৬২ দশমিক ৭৫ শতাংশে দাঁড়ায়।
কালো টাকার বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ধারাবাহিক গবেষণা করছেন অস্ট্রিয়ান অর্থনীতিবিদ ফ্রেডারিক স্নাইডার। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ‘শেডিং লাইট অন দ্য শ্যাডো ইকোনমি: আ গ্লোবাল ডেটাবেইস অ্যান্ড দ্য ইন্টারঅ্যাকশন উইথ দ্য অফিশিয়াল ওয়ান’ শিরোনামে একটি সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তিনি। এতে ১৫৭টি দেশের তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৯১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ২৭ বছরে বাংলাদেশে কালো টাকার গড় হার ছিল জিডিপির ৩৩ দশমিক ১ শতাংশ। সর্বশেষ গত ৩ জুন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ‘বিকল্প বাজেট প্রস্তাব ২০২৪-২৫’-এ বলা হয়েছে, ১৯৭২-৭৩ থেকে ২০২২-২৩ পর্যন্ত ৫০ বছরে পুঞ্জীভূত কালো টাকার পরিমাণ ১ কোটি ৩২ লাখ ৫৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। তাদের হিসাবে প্রতি বছর গড়ে জিডিপির ৩৩ শতাংশ টাকা অপ্রদর্শিত থেকে যায়।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছরে জিডিপির আকার হবে ৫০ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা। গবেষকদের অভিমত অনুযায়ী এক-তৃতীয়াংশ (৩৩ শতাংশ) কালো বা অপ্রদর্শিত থাকলে তার পরিমাণ ১৬ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
বারবার সুযোগ দিলেও মূলধারায় আসছে না:
বৈধতা না থাকায় মূলধারার বাইরে চলে যাওয়া বিপুল পরিমাণ টাকা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বা বিনিয়োগে কোনো ভূমিকা রাখছে না। এতে সরকারও কাঙ্ক্ষিত হারে রাজস্ব পাচ্ছে না। এ কারণে বিভিন্ন সময়ে কালো টাকাকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসার সুযোগ দেওয়া হয়। গত ৫৩ বছরে ২১ বার এমন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তবে কখনো প্রত্যাশা অনুযায়ী সাড়া দেননি অবৈধ অর্থের মালিকরা।
জানা যায়, জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ১৯৭৫-৭৬ অর্থবছরে সর্বপ্রথম অবৈধভাবে উপার্জিত টাকা বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়। তখন এই প্রক্রিয়ায় বৈধতা পেয়েছিল ৭০ কোটি টাকা। সরকার রাজস্ব পেয়েছিল ১০ কোটি টাকা। এর পর এরশাদ আমলে ১৯৮৭-৮৮ অর্থবছর থেকে টানা ৩ বছর একই সুযোগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রথম বছর ২০ শতাংশ হারে কর পরিশোধের বিধান করা হয়। ১৯৮৮-৮৯ এবং ১৮৮৯-৯০ অর্থবছরে ১০ শতাংশ কর দিয়ে শিল্প খাতে অবৈধ অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়। ওই তিন অর্থবছরে বৈধ হয়েছিল ৮৫০ কোটি টাকা।
১৯৯১-৯৬ পর্যন্ত বিএনপির আমলে ঘোষণা দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তবে আয়কর আইনের বিশেষ বিধান কাজে লাগিয়ে সেই সময় ১৫০ কোটি টাকা সাদা হয়। সেখান থেকে আয়কর আদায় হয় ১৫ কোটি টাকা।
২০০০-২০০১ অর্থবছরের বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ রেখেছিলেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। সেবার ১ হাজার কোটি টাকার অপ্রদর্শিত অর্থ মূলধারার অর্থনীতিতে যুক্ত হয়।
এরপর বিএনপি সরকারের অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান টানা চার বছর কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছিলেন। এর মধ্যে প্রথম তিন অর্থবছর (২০০২-০৩ থেকে ২০০৪-০৫) কোনো রকম কর পরিশোধ ছাড়াই অপ্রদর্শিত অর্থকে বৈধতা দেওয়া হয়। সে সুযোগে সাদা হয়েছিল ১ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা। আর ২০০৫-০৬ অর্থবছরে সাড়ে ৭ শতাংশ কর পরিশোধের শর্তে একই সুযোগ দেওয়া হয়। ওই বছর বৈধতা পেয়েছিল ৪ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা।
২০০৭-০৮ অর্থবছরে সীমিত সময়ের জন্য কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছিল সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ওই সময় বৈধ হয়েছিল ৯ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা।
আবুল মাল আবদুল মুহিতের দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি শিল্প ও আবাসন খাতে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়। ওই সময় ৪ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা সাদা হয়।
এরপর ২০২০-২১ অর্থবছরে ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে প্লট-ফ্ল্যাটও কিনে রাখা হয়। সব মিলিয়ে সেই সুযোগ গ্রহণ করেছিলেন ১১ হাজার ৮৩৯ জন। সাদা হয়েছিল দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সেখান থেকে সরকার রাজস্ব পায় ২ হাজার ৬৪ কোটি টাকা।
২০২১-২২ অর্থবছরে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার সুযোগ দিয়েছিল সরকার। সেজন্য মাত্র সাড়ে ৭ শতাংশ হারে কর ধার্য করা হয়। এমন সুযোগেও বিদেশ থেকে একটি টাকাও দেশে ফেরেনি। এ কারণে পরের বছর আর সে সুযোগ রাখা হয়নি।
তবে দুবছর না যেতেই আবার অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ ফিরিয়ে দিয়েছে সরকার। আগামী (২০২৪-২৫) অর্থবছরে ১৫ শতাংশ কর পরিশোধ করলেই বৈধতা পাবে যে কোনো টাকা।
এ বিষয়ে সংসদে উত্থাপিত অর্থবিলে বলা হয়েছে, ‘নগদ অর্থ, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, সিকিউরিটিজ, আর্থিক স্কিম ও ইনস্ট্রুমেন্ট এবং সব ধরনের ডিপোজিট বা সেভিং ডিপোজিট ১৫ শতাংশ কর দিয়ে ট্যাক্স রিটার্নে প্রদর্শন করা যাবে।
এর বাইরে বাজারমূল্যের ১৫ শতাংশ কর দিয়ে যে কোনো ধরনের পরিসম্পদ বৈধ করার সুযোগ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া নির্ধারিত কর পরিশোধ সাপেক্ষে অপ্রদর্শিত জমি ও ফ্ল্যাট বৈধ করারও সুযোগ দিচ্ছে সরকার।
কালো টাকার মালিকদের এ ধরনের সুযোগ দেওয়াকে বৈষম্যমূলক এবং অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘অবৈধ অর্থকে এভাবে দায়মুক্তির নিশ্চয়তা দিয়ে সরকার প্রকারান্তরে নাগরিকদের দুর্নীতিগ্রস্ত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। রাজস্ব বাড়ানোর খোঁড়া যুক্তিতে দুর্নীতি ও অনৈতিকতার গভীরতর ও ব্যাপকতর বিকাশকে স্বাভাবিকতায় পরিণত করা হচ্ছে। দুর্নীতিকে লাইসেন্স দেওয়ার এই প্রক্রিয়া চিরতরে বন্ধ হবে— এটাই প্রত্যাশিত।’
সুযোগ নিতে কেনো অনীহা:
সহজ বা বিনা শর্তে বারবার অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হলেও এতে খুব বেশি আগ্রহ দেখাননি কালো টাকার মালিকরা। স্বাধীনতার পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০ বছর কোনো না কোনোভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বহাল ছিল। তাতে সব মিলিয়ে বৈধ হয়েছে প্রায় ৪৭ হাজার কোটি টাকা। কালো টাকার সম্ভাব্য মোট পরিমাণের সবচেয়ে কম হিসাব বিবেচনায় নিলেও মূলধারায় ফিরেছে মাত্র আড়াই শতাংশ।
অর্থনীতিবিদদের মতে, সাদা করার সুযোগ দেওয়া বা না দেওয়া দেশে কালো টাকার উৎপাদন ও বিকাশে কোনো ভূমিকা রাখে না। রাজনীতি ও অর্থনীতির দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ না হলে অবৈধ অর্থের দাপট কোনোভাবেই কমানো যাবে না। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘যারা খারাপ কাজ করছে, তাদের শাস্তি হচ্ছে না বলেই অন্যরাও সেই পথে যাচ্ছে। সুতরাং এটা একেবারেই পরিষ্কার যে, কালো টাকার দাপট বন্ধ করতে হলে অপরাধীদের শাস্তি বিধান করতে হবে।’
কারও কারও মতে, ভবিষ্যতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে—এমন আশঙ্কায় অনেকে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নিতে চান না।
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবুল বারকাত কালবেলাকে বলেন, ‘যদি কালো টাকার মালিকারা গ্যারান্টি পায় যে, সরকারের কোনো সংস্থা বা রাষ্ট্রক্ষমতায় যেই আসুক, এ নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলবে না। তাহলে তারা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নিতে উৎসাহী হবেন। অর্থাৎ দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে শুরু করে যত সংস্থা আছে, সবার সঙ্গে বসে রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টি দেওয়ার চিন্তা করে দেখা যেতে পারে।’
সমাজ ও অর্থনীতিতে বাড়াচ্ছে সংকট:
দুর্নীতি, চোরাচালানসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অবৈধ লেনদেন বন্ধে একের পর এক আইন করা হলেও দেশে অবৈধ আয়ের উৎস বন্ধ হয়নি। প্রতি বছরই নানা পন্থায় বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করছে দুর্নীতিবাজরা। এসব টাকা উৎপাদন ও কর্মসংস্থানে কোনো ভূমিকা রাখছে না।
অর্থনীতিবিদদের মতে, কালো টাকা একদিকে অর্থনীতির ভারসাম্য নষ্ট করছে, অন্যদিকে অবৈধ লেনদেন বাড়তে থাকায় সরকার বঞ্চিত হচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পরিবর্তে অবাধে এ ধরনের অর্থকে বৈধ করার সুযোগ দেওয়ায় দুর্নীতি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড উৎসাহিত হচ্ছে।
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, ‘দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতি ও অর্থনীতির ছায়াতলেই কালো টাকার বিকাশ ঘটেছে। নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারসহ সামগ্রিক রাজনীতি ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত সমাজে কালো টাকার দাপটের অবসান হবে না।’
এ জাতীয় আরো খবর..