মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে মামলা আর আইনি ঝামেলা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে প্রধান দুই প্রার্থীকেই। ফৌজদারি মামলায় ডোনাল্ড ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর এবার বিচারের মুখোমুখি জো বাইডেনের ছেলে। হান্টার বাইডেন দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় নভেম্বরের নির্বাচনে এর প্রভাব কেমন হবে, তা নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ।
আর কয়েক মাস পরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচন। এরইমধ্যে শুরু হয়েছে নানা নাটকীয়তা। গেল মাসে ফৌজদারি মামলার অপরাধে প্রথম কোনো সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে দোষী সাব্যস্ত হন।এবার আগ্নেয়াস্ত্র মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেন।
একে তো গাজায় চলা ন্যক্কারজনক হামলার শুরু থেকে নগ্ন সমর্থন দেয়ায় খোদ নিজ দেশে তোপের মুখে পড়েন বাইডেন এখন আবার নতুন করে ছেলের এই মামলা বেশ তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তাকে। প্রশ্ন উঠেছে নভেম্বরের নির্বাচনে কতটুকু প্রভাব ফেলবে বাইডেনের ছেলের এই কীর্তি।
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এতে বলা হয়, নির্বাচনে ভোটারদের প্রার্থী বাছাইয়ে তেমন প্রভাব ফেলবে না হান্টার বাইডেনের ইস্যুটি।
যদিও আগ্নেয়াস্ত্র কেনা-বেচার সময় মাদকাসক্তি নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেয়ায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায়, বাবা হিসেবে বেশ ধকল কাটাতে হচ্ছে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থীর। তবে ব্যালটে বাইডেনের নাম থাকবে, তার ছেলে হান্টারের নয়। ছেলের অপরাধের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের কোনো যোগসূত্রের প্রমাণ নেই।
এমনকি জনগণের ওপর চালানো জরিপে দেখা গেছে, হান্টার বাইডেনের এই মামলা নিয়ে তাদের তেমন কোনো আগ্রহ বা উদ্বেগ নেই। তবে বিরোধী পক্ষ এই ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে বাইডেনকে ঘায়েল করার চেষ্টা করবে বলে মনে করছেন অনেকে।
এদিকে বিচারের শুরুতেই বাইডেন জানান, উভয় সংকটে রয়েছেন তিনি। কারণ তিনি যেমন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ঠিক তেমনি একজন বাবাও। যদিও আদালতের রায় মেনে নেয়ার কথাই জানান তিনি।
তবে চলতি মাসের শেষ দিকে গুরুত্বপূর্ণ প্রেসিডেনশিয়ার বিতর্কের আগে বিষয়টি নিয়ে বাইডেন বেশ অস্বস্তিতে পড়তে পারেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এ জাতীয় আরো খবর..