×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-১২
  • ৬৬ বার পঠিত
নেত্রকোনার পূর্বধলায় তিনদিনে একটি খামারে প্রায় ২৭টি ছোট-বড় গরুর মৃত্যু হয়েছে; অসুস্থ রয়েছে আরও অন্তত ৫টি গরু। ঈদের আগেই এমন ক্ষতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন খামারের মালিক। তবে কাঁচা ঘাসে নাইট্রোজেনের মাত্রা বেশি থাকায় বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে গরুগুলোর মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

গত রোববার (৯ জুন) থেকে বুধবার (১২ জুন) ভোর পর্যন্ত উপজেলার তাহাযীদ এগ্রো ফার্মে ওই ২৭টি গরুর মৃত্যু হয়। এরমধ্যে গাভি দুটি, বাকিগুলো ষাঁড় গরু এবং বাছুর বলে দাবি করেছেন খামার মালিক জাহেরুল ইসলাম।

তিনি জানান, শনিবার সন্ধ্যায় তার ফার্মের গরুগুলোকে কাঁচা নেপিয়ার ঘাস খাওয়ান। রোববার থেকে গরুগুলো অসুস্থ হয়। এরপর গরুগুলো এক এক করে মরতে থাকে।

তিনি বলেন, মোট ১০৭টি বিভিন্ন বয়সের গরুর মধ্যে ২৭টিই মারা গেছে। আরও ৫টি গরু অসুস্থ রয়েছে। মারা যাওয়া গরুর মধ্যে ১৪টি বিক্রিযোগ্য ষাঁড় গরু। বিভিন্ন দামের গরুগুলো এবার কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল। তারমধ্যে এই সময়ে এমন ক্ষতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। সব মিলিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামার পরিদর্শন করে নমুনা সংগ্রহ করেছেন জেলা প্রাণিসম্পদের উপসহকারী গোপাল চন্দ্র সরকার।

তিনি বলেন, খবর পেয়েই আমারা পরিদর্শন করে নমুনা ঢাকায় পাঠিয়েছি। এমন ঘটনার মূল কারণটা পরীক্ষার পর জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৃষ্টির দিনে কাঁচা ঘাসে নাইট্রোজেনের মাত্রা বেশি থাকে। এ সব কাঁচা ঘাসের নাইট্রেট বিষক্রিয়ায় গরুগুলো মারা যেতে পারে। 

গোপাল চন্দ্র সরকার জানান, তারা অসুস্থ গরুর নমুনা ছাড়াও খাওয়ানো ঘাসের নমুনা সংগ্রহ করছেন। পরীক্ষার পর আরও বিস্তারিত জানা যাবে।

এর আগে রোববার থেকে সোমবার পর্যন্ত পূর্বধলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামের তাহাযীদ এগ্রো ফার্মে একে একে ১৩টি গরু মৃত্যু হয়। এরপরই মালিক আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। গরুগুলো অসুস্থ হয়ে ধীরে ধীরে মারা যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্থানীয় ওই খামারি দ্রুত যোগাযোগ করেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের সঙ্গে। কিন্তু এরপর দিন মঙ্গলবার (১১ জুন) রাত পেরিয়ে বুধবার ভোর পর্যন্ত আরও ১৪টি গরু মারা যায়। 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat