×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-১১
  • ৬১ বার পঠিত
এক যুগে রেলের উন্নয়নে দেড় লাখ কোটি টাকা ব্যয় হলেও ট্রেনের গতি বাড়েনি একটুও। বরং কমেছে বেশকিছু রুট। শিডিউল বিপর্যয়, আর ধীরগতির ভোগান্তিই যেন যাত্রীদের নিত্যসঙ্গী। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরিকল্পিত উন্নয়নেই কমেছে রেলের গতি। রেল মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলছেন, উন্নয়নের সুফল পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও ৫ থেকে ৭ বছর!

টাইমটেবিল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১২ বছর আগে ট্রেনের গতি যা ছিল, তাই রয়ে গেছে এখনও। অথচ এ সময়ে রেলে বিনিয়োগ হয়েছে দেড় লাখ কোটি টাকা। বিপুল এ  বিনিয়োগের কোনো প্রভাবই পড়েনি ট্রেনের গতিতে।

স্বল্প সময়ে বাড়ি যাওয়া তো দূরের কথা, এখনও ট্রেনের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। আর শিডিউল বিপর্যয় যেন পশ্চিমাঞ্চলের নিত্যসঙ্গী।

ওই অঞ্চলের যাত্রীরা বলছেন, রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট এবং বুড়িমারী -- এ চারটা ট্রেন প্রায় দেরি করে। এসব ট্রেনের জন্য যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। বেশিরভাগ সময়ই ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা দেরি করে।
 
ট্রেন চালকরা বলছেন, টাইমটেবিলে যে গতিসীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে, সে অনুযায়ী ট্রেন চলে না বেশিরভাগ রুটেই। ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় বেশকিছু সেকশনে ১০ থেকে ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালাতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তাদের।
  
এক চালক বলেন, কোথাও ১০ কিলোমিটার, আবার কোথাও ৫ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালাতে হয়।  
 
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যা দরকার তা না করে, পরিকল্পনাহীন উন্নয়নের ফলে কমছে রেলের গতি।
 
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান সময় সংবাদকে বলেন, 
পুরোনো লাইনগুলো সংস্কার করা গেলে গতি বাড়ানো যেত। কিন্তু সেই সংস্কার না করে শুধু নতুন নতুন প্রকল্পের পেছনে ছুটলে পুরোনো লাইনগুলো তো আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। তার গতি কমছে। সেটা তো হওয়া উচিত না।

তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, চলমান প্রকল্পগুলো শেষ হলে কিছুটা গতি ফিরবে ট্রেনের চাকায়; তবে অপেক্ষা করতে হবে আরও ৫ থেকে ৭ বছর।
  
রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, 
হয়ত আরও ৫ থেকে ৭ বছর পরে দুর্বল জায়গাগুলো শনাক্ত করে প্রতিস্থাপন করা হলে গতি বাড়বে। তখন মানুষ এটার সুফল পাবে। 
 
সারা দেশে রেলপথ রয়েছে তিন হাজার কিলোমিটার, যার ৬৩ শতাংশই ঝুঁকিপূর্ণ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat