×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-০৮
  • ৮৩ বার পঠিত
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় প্রায় তিন হাজার ফিলিস্তিনি শিশু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হারিয়েছে। গাজার চিকিৎসকরা এই তথ্য দিয়েছেন। আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজাজুড়ে হাজার হাজার শিশু এক বা একাধিক অঙ্গ হারিয়েছে। অনেককে চেতনানাশক ছাড়াই অঙ্গচ্ছেদ করাতে হচ্ছে।

শাম ইসরোয়েলি ড্রোনের আঘাতে অঙ্গ হারানো হাজার হাজার শিশুর মধ্যে একজন। শিশুটির মা বলেছেন, ‘শাম দরজার কাছে দাঁড়িয়ে ছিল, তখন তার হাত ড্রোনের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায়। আমি দৌড়ে বাইরে গিয়ে দেখি, ওর হাত শুধু একটু সুতোয় ঝুলছে।’ গাজার একটি হাসপাতাল পুরোপুরি চালু না থাকায় তাকে ডাক্তার দেখাতে কয়েক ঘণ্টা সময় লেগেছে।

সেই  অভিজ্ঞতা ছিল ভয়াবহ। তবে শাম ছিল ভাগ্যবানদের মধ্যে একজন। কারণ চেতনানাশক দিয়ে তার অঙ্গচ্ছেদ করা হয়েছিল।
আল-আকসা শহীদ হাসপাতালের আবাসিক অর্থোপেডিক সার্জন ডা. মোহাম্মদ শাহীন বলেছেন, ‘পরিস্থিতি ভয়াবহ, কিন্তু প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও সংস্থানের অভাবের কারণে চিকিৎসা দেওয়া আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে আরো বলেছে, গাজার প্রতি ১০ ফিলিস্তিনি শিশুর ৯ জনই ‘ভয়াবহ খাদ্যসংকটে’ রয়েছে। ক্ষুধা, পিপাসা এবং মারাত্মক অপুষ্টির কারণে অনেক ফিলিস্তিনি শিশু মারা গেছে।

বিশ্ব খাদ্য সংস্থা গত সপ্তাহে জানিয়েছে, গাজার প্রতি পাঁচ শিশুর চারজনই প্রতি তিন দিনে অন্তত এক দিন ‘পুরো দিন না খেয়ে থাকে।’ ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা উনরওয়া মুখপাত্র জুলিয়েট তোমা বলেন, ‘অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার কারণে গাজার শিশুরা মারা যাচ্ছে।’

গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার সকালে বাস্তুচ্যুত লোকে ভরা কেন্দ্রীয় গাজার একটি স্কুলে বিমান হামলায় কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, হামলায় ১৪ শিশু নিহত হয়েছে। গাজা সরকারের মিডিয়া অফিসের পরিসংখ্যান অনুসারে, অক্টোবরের শুরু থেকে ইসরায়েলি হামলায় ১৫ হাজার ৫০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে।
সূত্র : আলজাজিরা

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat