এবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জন্য ১৯১ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এর মধ্যে পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আর ১২ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে উন্নয়ন খাতের জন্য। প্রস্তাবিত বরাদ্দ চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ৩৭ কোটি ৭৫ লাখ ৬২ হাজার টাকা বেশি।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স উল্লেখ করে বাজেট বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদকের কার্যক্রমকে পূর্ণাঙ্গভাবে অটোমেশনের আওতায় আনা হচ্ছে। এর জন্য ডিজিটাল আর্কাইভ, ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব এবং ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড প্রসিকিউশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইপিএমএস) চালু করা হয়েছে। দেশের প্রতিটি মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গঠন করা হয়েছে ৫০৪টি দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি।
এ ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্রেতা ছাড়া ৬ হাজার ৬৩৮টি সততা স্টোর চালু করা হয়েছে। নৈতিকতা ও মূল্যবোধ উন্নয়নে এ পর্যন্ত গঠন করা হয়েছে ২৫ হাজার ৫৪২টি সততা ষংঘ।
চলতি অর্থ বছরে দুদকের জন্য ১৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছিল। পরে সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ দেওয়া হয় ১৫৩ কোটি ৭৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
এ জাতীয় আরো খবর..