পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা জ্বব্দকৃত সম্পত্তিগুলোর ‘রিসিভার’ নিয়োগের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বেনজীর আহমেদের জ্বব্দকৃত সম্পত্তিগুলো রক্ষণাবেক্ষণ জন্য রিসিভার নিয়োগের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে কাকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, পূর্ণাঙ্গ আদেশ না হওয়া পর্যন্ত তা বলা যাচ্ছে না।
এরই মধ্যে তার বেশকিছু সম্পদের ওপর ‘জ্বব্দকৃত’ ও ‘ফ্রিজের’ নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। এ তালিকায় রয়েছে বেনজীর আহমেদের পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৬২১ বিঘা জমি।
হাজির হচ্ছেন না দুদকে
এর আগে গত ২৩ ও ২৬ মে দুই দফায় বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ৬২১ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দেন আদালত। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জমির মালিক বেনজীরের স্ত্রী জীশান মীর্জা। তার নামে প্রায় ৫২১ বিঘা জমি খুঁজে পেয়েছে দুদক। বাকি ১০০ বিঘার মত জমি রয়েছে বেনজীর, তার তিন মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর, তাহসিন রাইশা বিনতে বেনজীর ও জারা জেরিন বিনতে বেনজীর এবং স্বজন আবু সাঈদ মো. খালেদের নামে।
বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জীশান মীর্জার নামে মাদারীপুরের সাতপাড় ডুমুরিয়া মৌজায় ২৭৬ বিঘা জমি পাওয়া গেছে। ২০২১ ও ২০২২ সালের বিভিন্ন সময় ১১৩টি দলিলে এসব জমি কেনা হয়। দলিল মূল্য দেখান হয় মোট ১০ কোটি ২২ লাখ টাকা। ৮৩টি দলিলে ৩৪৫ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দেন আদালত। যার দলিলমূল্য দেখান হয়েছিল ১৬ কোটি ১৫ টাকার কিছু বেশি।
এ ছাড়া বেনজীর আহমেদের পরিবারের সদস্যদের নামে গুলশানে যে চারটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন আদালত। তার মধ্যে তিনটি তার স্ত্রীর নামে এবং একটি ছোট মেয়ের নামে। দুটি ফ্ল্যাটের আয়তন দুই হাজার ৩৫৩ বর্গফুট, দাম ৫৬ লাখ টাকা করে। বাকি দুই ফ্ল্যাটের আয়তন ২ হাজার ২৪৩ বর্গফুট করে, দাম সাড়ে ৫৩ লাখ টাকা করে। চারটি ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে একই দিন একই ভবনে। ভবনটির নাম র্যানকন আইকন টাওয়ার।
এ জাতীয় আরো খবর..