নাটোরের সিংড়ায় ২০ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে শতাধিক বাড়িঘর লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এসব এলাকা। এছাড়া চামারী ইউনিয়নে একজনের আহতের খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (৫ জুন) রাত ৯টা ৩৫ মিনিট থেকে ৯টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত চলে এ ঝড়।
জানা যায়, উপজেলার চামারী, হাতিয়ান্দহ, কলম, ইটালি ইউনিয়নের বেশকিছু গ্রাম, পৌরসভার সোহাগবাড়ি, চকসিংড়া, শোলাকুড়া এলাকার গাছপালা উপড়ে গেছে এবং ঘরের চাল উড়ে গেছে। সারারাত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল এসব এলাকা। এ ঝড়ে বিভিন্ন গ্রামে শত শত ঘরবাড়ি আংশিক ও সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন বহু মানুষ।
পৌরসভার সোহাগবাড়ি এলাকার মাধব চন্দ্র দাস বলেন, গত রাতের ঘূর্ণিঝড়ে আমার ঘরের চাল উড়ে গেছে।
এতে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
হিজলী গ্রামের পুকুরচাষি রিপন আলী বলেন, ঝড়ে আমার ঘরের চাল উড়ে ২০০ বস্তা মাছের খাদ্য পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে।
উপজেলার কলম গ্রামের মাসুদ রানা বলেন, গত রাতের কালবৈশাখী ঝড়ে আমার মুরগির খামারের চাল উড়ে গেছে। আমার একমাত্র সম্বল হারিয়ে এখন আমি প্রায় নিঃস্ব।
ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার মুঠোফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানার জন্য সরেজমিনে দেখা হচ্ছে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা করে তাদের জন্য ত্রাণ সরবরাহের প্রস্তুতি চলছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি নিজে ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের নিয়ে ত্রাণ বিতরণে বের হব। তা ছাড়া দুর্যোগে আহত চামারী ইউনিয়নের এক ব্যক্তির জন্য তাৎক্ষণিকভাবে আট হাজার টাকা সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও জেলা প্রশাসক খোঁজখবর নিয়েছেন এবং ত্রাণ বিতরণের সার্বিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
এ জাতীয় আরো খবর..