ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেনের যাত্রীদের সুখবর দিলো বাংলাদেশ রেলওয়ে। বাণিজ্যিক যাত্রার ৬ মাস পর দুটি ট্রেনেই যুক্ত হচ্ছে নতুন লাল-সবুজের শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কেবিন কোচ। দীর্ঘ ৯ ঘণ্টার যাত্রায় এবার শুয়ে, ঘুমিয়ে যাওয়া যাবে সৈকত শহরে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ও ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’। এই দুটি ট্রেনে করে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাতায়াত করছে কয়েক হাজার যাত্রী। যার অধিকাংশই পর্যটক। বাণিজ্যিক যাত্রার শুরু থেকেই ট্রেন দুটিতে এসি ও নন-এসি চেয়ার কোচে করে বসে যাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু ছিল না কোনো কেবিন কোচ।
এবার যাত্রীদের সুবিধা বিবেচনা করে বাণিজ্যিক যাত্রার ৬ মাস পর ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ও ‘পর্যটক এক্সপ্রেসে’ যুক্ত হলো শীততাপ নিয়ন্ত্রিত নতুন কেবিন কোচ। দুটি ট্রেনেই থাকছে ৩টি করে কেবিন কোচ। ঢাকা-কক্সবাজার রুটে দীর্ঘ ৯ ঘণ্টার ট্রেন যাত্রায় এবার শুয়ে যাওয়া যাবে।
যাত্রীরা জানান, বয়স্ক কিংবা অসুস্থদের জন্য এই কেবিন কোচ খুবই আরামদায়ক হবে। দূরের যাত্রায় এখন আমরা শুয়ে-শুয়ে আরামে আসা-যাওয়া করতে পারবো।
তবে যাত্রীরা বলেন, কক্সবাজার রুটের দুই ট্রেনেই যুক্ত হচ্ছে নতুন শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কেবিন কোচ। দীর্ঘযাত্রায় কেবিনে ভ্রমণটা আরামদায়ক হবে।
তবে যাত্রীদের অভিযোগ, ঢাকা-কক্সবাজার রুটে কেবিনের ভাড়া অতিরিক্ত। তা ছাড়া টিকিট পেতেও অসুবিধে হয়। তারা কেবিনের ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়েছেন।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, পহেলা জুন থেকে এসি বার্থ ও এসি সিটের আসন বিক্রি শুরু করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। দুটি ট্রেনেরই উভয় দিকের প্রারম্ভিক স্টেশন ধরে অনলাইনে এসব আসন পাওয়া যাচ্ছে। এসব কেবিনে বসে যাত্রা করলে প্রতি আসনের ভাড়া ভ্যাটসহ ধরা হয়েছে এক হাজার ৫৯০ টাকা। আর শুয়ে কিংবা ঘুমিয়ে যাত্রা করলে কেবিনে প্রতি আসনের ভাড়া ভ্যাটসহ গুনতে হবে ২ হাজার ৪৩০ টাকা।
এ বিষয়ে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের মাস্টার মো. গোলাম রব্বানি বলেন, ভবিষ্যতে আরও সুযোগ-সুবিধা বাড়বে। এ ছাড়া ট্রেনের সংখ্যা বাড়তে পারে। যাত্রী সেবারমান কীভাবে আরও বাড়ানো যাবে এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ বেশ আন্তরিক।
সপ্তাহে ৬ দিন করে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে যাতায়াত করছে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ও ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’।
এ জাতীয় আরো খবর..