×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-০৫
  • ৯৪ বার পঠিত
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে সময়োপযোগী, ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব এবং নাগরিক কল্যাণ নিশ্চিত করবে-এমন একটি নতুন টেলিযোগাযোগ আইন প্রণয়ন করা হবে। এরই মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে যে খসড়া প্রস্তত করা হয়েছে, সেখানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে এই আইন চূড়ান্ত করা হবে।’ 

বুধবার (৫ জুন) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি। 

টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) ও অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব) যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘খসড়া আইনের যেসব বিষয় ব্যবসা ও বিনিয়োগ বান্ধব হবে না, সেগুলো সংশোধন করা হবে। কোনো অংশীজন ও দেশের জনসাধারণের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে- এমন যা কিছু এই খসড়ায় আছে তা বাদ দেওয়া হবে।’ 

সেমিনারে আলোচকদের প্রস্তাব অনুযায়ী খসড়া আইনের ৭(৩) এবং ২৬(ঙ) ধারা দুটি অবশ্যই পরিবর্তন করা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। 
জানা যায়, প্রস্তাবিত আইনের ৭(৩) ধারায় বিটিআরসি’র কমিশনারদের অপসারণের ক্ষমতা মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়েছে এবং ২৬(ঙ) ধারায় সোস্যাল মিডিয়া ও অনলাইন প্লাটফরম পরিচালনার জন্য বিটিআরসি থেকে লাইসন্সে নেওয়ার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছে।
 
সভায়, ৭(৩) ধারার সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, এ ধারার মাধ্যমে বিটিআরসি’র স্বাধীনভাবে দায়িত্বপালন চরমভাবে ব্যহত হবে। আর ২৬(ঙ) ধারা দেশে অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা ও অন্যান্য উদ্ভাবনকে জটিলতায় ফেলবে। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সব আইন মানুষের জন্য।

তাই মানুষের কল্যাণেই আইন করতে হবে। নতুন আইনের কারণে কেউ যেন কোনো সমস্যায় না পড়ে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।’ 
টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় দু’টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল হক এবং রবির চিফ কর্পোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স শাহেদ আলম। 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat