এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজন করছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভৌগলিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাশাপাশি অবস্থান করলেও দুই অঞ্চলের স্টেডিয়ামগুলোর মধ্যে দূরত্ব কম নয়। তাই আলোচনায় এসেছে বিশ্বকাপের সময় খেলোয়াড়দের লম্বা সফরের বিষয়টি।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলার পর ভ্রমণ ক্লান্তির কথা তুলে এনে অভিযোগ করেছিলেন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার মহেশ থিকশানা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওই ম্যাচে মাঠে নামার আগে ভ্রমণেই লম্বা সময় পার করতে হয়েছে লঙ্কানদের। তবে ভ্রমণ সম্পর্কিত বিষয়ে লঙ্কানদের চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে সবচেয়ে বেশি পথ ভ্রমণ করতে হবে বাংলাদেশকে। চারটি ভিন্ন ভিন্ন ভেন্যুতে 'ডি' গ্রুপের চারটি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশকে ভ্রমণ করতে হবে ৯ হাজার ৯২১ কিলোমিটার। অর্থাৎ বিশ্বকাপের মধ্যে প্রস্তুতির চেয়ে ভ্রমণেই বেশি সময় পার করতে হবে নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে। এই তালিকায় বাংলাদেশের পরই আছে শ্রীলঙ্কা।
এবারের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব খেলতে ৮ হাজার ৯৭ কিলোমিটার পাড়ি দিতে হবে শ্রীলঙ্কাকে। তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা নেদারল্যান্ডসও আছে বাংলাদেশের গ্রুপে, তাদের ভ্রমণ করতে হচ্ছে ৭ হাজার ৩৮০ কিলোমিটার। চতুর্থ স্থানে থাকা নেপাল ৪ হাজার ২১৪ কিলোমিটার ভ্রমণ করবে। মজার বিষয় হচ্ছে, শীর্ষ চারে থাকা সবগুলো দলই 'ডি' গ্রুপের।
পঞ্চম স্থানে থাকা কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান তিন দলই ৩ হাজার ৯২২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবে। ৩৪৩৪ কিলোমিটার পথ ভ্রমণের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আয়ারল্যান্ড আছে ষষ্ঠ স্থানে। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্রমণপথ ৩ হাজার ৩০৬ কিলোমিটার।
সবচেয়ে কম দূরত্ব পাড়ি দিতে হবে ইংল্যান্ডকে। গ্রুপ পর্বের ৪টি ম্যাচ খেলতে কেবল ৫০৫ কিলোমিটার ভ্রমণ করতে হবে ইংলিশদের। একই ভেন্যুতে তিনটি ম্যাচ খেলতে যাওয়া ভারতকে মাত্র ১ হাজার ৭১৭ কিলোমিটার পথ ভ্রমণ করতে হবে। স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ হাজার ৭০৯ কিলোমিটার ভ্রমণ করবে। এছাড়া অন্যান্য দলের মধ্যে পাপুয়া নিউগিনি ও উগান্ডা ১ হাজার ২৪৬ কিলোমিটার, স্কটল্যান্ড ১ হাজার ২৪২ কিলোমিটার ও অস্ট্রেলিয়া ১ হাজার ১৯৫ কিলোমিটার পথ ভ্রমণ করবে। নামিবিয়া, ওমান, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের ভ্রমণপথ এক হাজার কিলোমিটারেরও কম।
এ জাতীয় আরো খবর..