নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা শফি আহমেদ আর নেই।
সোমবার (৩ জুন) সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয় বলে জানো গেছে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহহিল কাইয়ূম তার মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ঘুমের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হন শফি আহমেদ। পরে উত্তরার একটি হাসপাতালে নেয়া হলে সাবেক এই ছাত্রনেতাকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন শফি আহমেদ। গত শতকের ৮০ দশকের ছাত্রনেতা ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক শফি আহমেদ জাসদ থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় উপ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। তিনি আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপকমিটির নেতা ছিলেন।
২০০৭ সালের বাতিল হওয়া নির্বাচনে নেত্রকোনা-৪ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছিলেন শফি। কিন্তু সেবার নির্বাচন না হওয়ায় তার আর ভোট করা হয়নি। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন শফি আহমেদ। তবে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়।
এ জাতীয় আরো খবর..