×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-০৩
  • ৩৯ বার পঠিত
হাইকোর্টের আদেশ মানতে সবাই বাধ্য। অথচ অনেক ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তারাই তা মানছেন না। গত এক মাসে আদালত অবমাননার এমন অভিযোগে দুই ডিসি, এক এসপি ও ইউএনও-ওসিসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে তলব করেছেন আদালত। ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে অতিরিক্ত সচিব, বিভাগীয় কমিশনারসহ আরও কয়েকজনের কাছে। যাকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বাধা হিসেবে দেখছেন আইনবিদেরা।

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ইটভাটার জন্য কৃষি জমির মাটি কাটায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন ২৩ মার্চ। কিন্তু এক মাসেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় ২৩ এপ্রিল চট্টগ্রামের ডিসি-এসপি, সাতকানিয়ার ইউএনও-ওসিকে তলব করেন হাইকোর্ট।

১২ মে হাইকোর্ট তলব করেন পটুয়াখালীর ডিসি নুর কুতুবুল আলমকে। দুই দফায় ৯০ দিন সময় পেয়েও একটি জমির খারিজ নিষ্পত্তি করেননি তিনি। এ ছাড়া আট শতাধিক অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ বাস্তবায়ন না করায় ব্যাখ্যা দিতে বলা হয় রংপুরের বিভাগীয় কমিশনারকে।

এ বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, আদেশ কার্যকরে কোর্টের যে কড়াকড়ি অবস্থানটা আগে ছিল, এখন সেটা নেই।

আদালতের নির্দেশ উপেক্ষায় বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ও আইনের শাসন ক্ষুণ্ন হয় বলে মনে করেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামছুদ্দিন চৌধুরী মানিক। তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা বা অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি যার ক্ষেত্রেই হোক না কেন, হাইকোর্টের হাত অনেক লম্বা। অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত কয়েকজন ডিসি বা সচিবকে জেলে পাঠালে আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নে দীর্ঘসুত্রিতার চিত্র পাল্টে যাবে। সাজা বাস্তবায়নে আদালতের কঠোর অবস্থান দেখেও অনেকের টনক নড়বে।

তবে রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, গাফিলতি নয় বরং পারিপার্শ্বিক অন্য কোনো কারণে আদেশ বাস্তবায়নে দেরি হতে পারে।

এ নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন জানান, যারা সরকারি নানা পদে দায়িত্বে আছেন তারা আদালতের আদেশের প্রতি আরও বেশি শ্রদ্ধাশীল। কারণ তারা জানেন আদালতের নির্দেশ পালনে দেরি হলে আদালত অবমাননার দায়ে পড়তে পারেন।

জনস্বার্থে করা মামলাগুলোর আদেশ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের অনীহা বেশি বলে অভিযোগ আইনজীবীদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat