বার্বাডোসের মন্থর উইকেটে যে রান কম হবে, এটা আগে থেকেই অনুমিত ছিল। নামিবিয়া-ওমান ম্যাচে সেটারই প্রতিফলন ঘটেছে। আইসিসির দুই সহযোগী দেশের লড়াইয়ে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০৯ রানেই গুটিয়ে যায় ওমান। এমন স্বল্প সংগ্রহ নিয়েও ম্যাচ জমিয়ে তোলে তারা। লো স্কোরিং ম্যাচকেই নিয়ে যায় সুপার ওভারে। তবে শেষ পর্যন্ত সুপার ওভারে ডেভিড উইসার বীরত্বে জয় পেয়েছে নামিবিয়া।
ওমানের ১০৯ রান তাড়া করতে নেমে শেষ দুই ওভারে নামিবিয়ার দরকার ছিল ১৪ রান। বিলাল খানের ১৯তম ওভার থেকে ৯ রান আসায় শেষ ওভারে ৫ রানের সমীকরণ দাঁড়ায় নামিবিয়ার। কিন্তু মেহরানের ওভারে মাত্র ৪ রান তুলতে পারেন ডেভিড উইসারা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে চতুর্থ বারের মতো ম্যাচের স্কোর সমান। ম্যাচের ফল নির্ধারণে তৃতীয়বারের মতো ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।
সুপার ওভারে বিলাল খানকে চার মেরে শুরু করেন উইসা। পরের ফুলটস বলে লং অন দিয়ে বিশাল ছক্কা। ওভারের শেষ দুই বলে আরেক ব্যাটসম্যান ইরাসমান আরো দুটি বাউন্ডারি মারলে ওমানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২২ রান। কিন্তু উইসার ওভার থেকে ওমান ১ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১০ রান তুলতে পারে ওমান। জয়ের আনন্দে মেতে ওঠেন উইসারা।
বার্বাডোসে যে বোলারদের দাপট থাকবে, এটা বোঝা গিয়েছিল ইনিংসের শুরুতেই। আগে ব্যাটিংয়ে নামা ওমানের ব্যাটসম্যানরা রীতিমতো সংগ্রাম করছিলেন উইকেটে। ট্রাম্পেলম্যানের বোলিং তোপে মাত্র ১০ রানেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারায় ওমান। এরপর জিসান মাকসুদ (২২) ও খালিদ কাইলের (৩৪) কল্যাণে বিপর্যয় কাটলেও এক সময় দলীয় ১০০ রানের আগেই অলআউট হওয়ার শঙ্কা জাগে ওমানের। শেষদিকে আহমেদের ৯ বলে ১১ রানের ছোট্ট ক্যামিওতে দলীয় শত রান পেরিয়ে যায় ওমান।
রান তাড়ায় শুরুতেই উইকেট হারায় নামিবিয়া। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই বিলাল খানের বলে আউট হন মাইকেল ভন লিংগেন (০)। তবে নিকোনালস ডেভিন ও জন ফ্র্যাঙ্কলিনের ৪২ রানের জুটিতে জয়ের দিকেই এগোতে থাকে নামিবিয়া। দলটি ব্যাটিং বিপর্যয়ে না পড়লেও রানের গতি ছিল মন্থর। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেছেন ফ্রাঙ্কলিন, সেটাও ৪৮ বলে। কেবল উইসা ছাড়া কেউই ১০০ এর বেশি স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করতে পারেননি। উইসাও যে আহামরি ব্যাট চালিয়েছেন, এমন নয়। তিনি ১১২ স্ট্রাইকরেটে ৮ বলে করেছেন ৯ রান। তবে সুপার ওভারে ভিন্ন উইসার দেখা মিলেছে।
এ জাতীয় আরো খবর..