ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সোমবার (২৭ মে) ভোর থেকে দমকা হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে রাজধানীর কাঁচাবাজারে। সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করছেন ক্রেতারা।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচকলা প্রতি হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, জালি কুমড়া প্রতি পিস ৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৭০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ১০০ টাকা, কচুর লতি প্রতি কেজি ৬০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ধুন্দল প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৬০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কচুরমুখী ১২০ টাকা, কাঁচা মরিচ মানভেদে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া আজকের বাজারে ইলিশ মাছ ওজন অনুযায়ী ১৩০০-১৮০০ টাকা, রুই মাছ ৩৮০-৬০০ টাকা, কাতল মাছ ৪৫০-৫৫০ টাকা, কালিবাউশ ৪০০-৫০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৯০০-১৪শ’ টাকা, কাঁচকি মাছ ৪০০ টাকা, কই মাছ ২৬০-৪০০ টাকা, পাবদা মাছ ৫০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০-১০০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬৫০-৭০০ টাকা, বেলে মাছ ৬০০-১২০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৭০০- ১০০০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ১২০০-১৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ওজন অনুযায়ী, ব্রয়লার মুরগি ১৯০-২১০ টাকা, কক মুরগি ৩৩০-৩৪০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৬০ টাকা, গরুর মাংস ৭৮০-৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মুরগির লাল ডিম ১৪৫ টাকা এবং সাদা ডিম ১৪০ টাকা প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর মহাখালী বাজারে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী একজন ক্রেতা বলেন, আজকে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বাড়তি। দোকানিরা বলছে- আজ রাজধানীতে কাঁচামালের সরবরাহ তুলনামূলক কম, সে কারণে বাড়তি দাম ধরা হয়েছে। আমরাও বুঝি গতকাল দিনব্যাপী বৃষ্টি ছিল। দাম বেশি বলে অর্ধেক করে সবজি কিনলাম, এক কেজির জায়গায় আধা কেজি করে কিনেছি।
রাজধানীর মগবাজারে বাজার করতে একজন ক্রেতা বলেন, আজ সবজির মধ্যে কাঁকরোল কিনলাম প্রতি কেজি ১০০ টাকায়। বাজারে এমন কোনো সবজি নেই যার দাম আজ বাড়তি না। সবজির দাম শুনলে আঁতকে উঠতে হচ্ছে। যেহেতু খেতে হবেই, সে কারণে বাধ্য হয়ে বাড়তি দামেই অল্প অল্প করে কিছু সবজি কিনলাম। আসলে রাজধানীর ব্যবসায়ীরা ওৎ পেতে বসে থাকে, কি অজুহাতে তারা দাম বাড়াবে। কখনোই বাজার মনিটরিং মাঠ পর্যায়ে সেভাবে হয় না, ঠিকমতো বাজার মনিটরিং হলে দ্রব্যমূল্যের এত ঊর্ধ্বগতি হতো না।
বিক্রেতারা বলছেন, দাম বাড়ার পেছনে আমাদের কোনো হাত নেই, বাজারে মাল আসেনি সে কারণেই দাম বাড়তি। আজ সবজির পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজারেই পাইকারি দাম বেশি। গতকাল সারা দিন বৃষ্টি হয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কৃষকরা ফসল তুলতে পারেনি। সে কারণে আজকে ঢাকায় ফসলের সরবরাহ একেবারেই কম। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় আজ বাজারে সব ধরনের বাজার সবজির দামই বাড়তি যাচ্ছে। আজ যেমন বৃষ্টি নেই, তাহলে কৃষকরা ঠিকভাবে ফসল তুলে হয়তোবা আগামীকাল থেকে রাজধানীতে সবজি সরবরাহ ঠিক হয়ে যাবে। সে কারণে কালকে থেকে সবজির দাম কিছুটা কমে আসবে।
এদিকে সবকিছুর দাম বাড়তে থাকলেও মুদি দোকানের পণ্যের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। আজকে প্যাকেট পোলাওয়ের চাল ১৫৫ টাকা, খোলা পোলাওয়ের চাল মানভেদে ১১০-১৪০ টাকা, ছোট মসুরের ডাল ১৪০ টাকা, মোটা মসুরের ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৬০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৮০ টাকা, খেসারি ডাল ১২০ টাকা, বুটের ডাল ১১৫ টাকা, ডাবলি ৮০ টাকা, ছোলা ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৪৭ টাকা, কৌটাজাত ঘি ১৩৫০ টাকা, খোলা ঘি ১২৫০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১৪৫ টাকা, খোলা চিনি ১৩০ টাকা, দুই কেজি
এ জাতীয় আরো খবর..