ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সশস্ত্র শাখা রবিবার বলেছে, তারা ইসরায়েলের বাণিজ্যিক কেন্দ্র তেল আবিবে একটি বড় রকেট হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এগুলোর বেশ কয়েকটিকে বাধা দেওয়ার কথা জানিয়েছে। এএফপির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইজেদিন আল-কাসাম ব্রিগেড টেলিগ্রামে একটি পোস্টে বলেছে, তারা ‘বেসামরিকদের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী (ইসরায়েলি) গণহত্যার প্রতিক্রিয়া হিসেবে একটি বড় রকেট হামলা চালিয়ে তেল আবিবকে লক্ষ্যবস্তু করেছে’।
পাশাপাশি ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফা থেকে দেশটির মধ্যাঞ্চলে অন্তত আটটি রকেট ছোড়া হয়েছে। গাজায় ইতিমধ্যে তাদের বাহিনী ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই করছে।
সামরিক বাহিনী আরো বলেছে, ইসরায়েলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ‘কিছুসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্রকে বাধা দেওয়া হয়েছে’।
এ ছাড়া গাজা উপত্যকায় অবস্থান করা এএফপির একজন সংবাদদাতা রাফা থেকে রকেট নিক্ষেপ করতে দেখেছেন।
এ সময় কয়েক মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো তেল আবিবে রকেট সাইরেন বেজে ওঠে। একজন এএফপি সংবাদদাতা অন্তত তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন।
অন্যদিকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বরাত দিয়ে টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের দিকে রাফা থেকে প্রায় ১০টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। রকেট হামলার সময় আশ্রয়ের জন্য ছোটাছুটি করতে গিয়ে দুজন আহত হয়েছে বলেও জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।
পাশাপাশি তারা একটি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ও একটি গর্তের ছবি প্রকাশ করেছে।
দক্ষিণ ইসরায়েলে ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর গাজায় যুদ্ধ শুরু হয়। ইসরায়েলের সরকারি পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে এএফপির তথ্য অনুযায়ী, সেই হামলায় এক হাজার ১৭০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। পাশাপাশি যোদ্ধারা ২৫২ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। সেনাবাহিনী বলছে, জিম্মিদের মধ্যে ১২১ জন এখনো গাজায় রয়ে গেছে এবং তাদের মধ্যে ৩৭ জন মারা গেছে।
অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে গাজায় অন্তত ৩৫ হাজার ৯৮৪ জন নিহত হয়েছে বলে হামাস পরিচালিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে
এ জাতীয় আরো খবর..