×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৫-২৫
  • ৬৬ বার পঠিত
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে নিজের সদস্য পদ ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য আবেদন করবেন নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা ওমর সানী। আজ শনিবার এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ কথা জানান। আজ সকালে ফেসবুকে সানী লিখেছেন, ‘আমি আর শিল্পী সমিতিতে সদস্য হিসেবে থাকতে চাইছি না, আমি কয়েক দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট সাহেবের কাছে চিঠি পাঠাব। আমার সমস্ত শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা রইল।

সম্প্রতি শিল্পী সমিতির কমিটির নানা কর্মকাণ্ডের কারণে ওমর সানী এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে অনেকেই তার পোস্টে জানাচ্ছেন।

তবে আসল বিষয়টি কী জানতে কালের কণ্ঠ’র পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় সানীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কোনো কারণ নেই। কারো প্রতি কোনো অভিযোগ নেই।

আমার ভেতরের কষ্ট আমার ভেতরেই থাকুক। আমি থাকতে চাচ্ছি না।’
তার কাছে জানতে চাওয়া হয় এটা তো আপনাদের মতো শিল্পীদের সংগঠন। তার পরও এমন সিদ্ধান্ত কেন?

সানী বলেন, ‘এটা আমাদের সংগঠন ঠিক আছে।

কিন্তু এখন আর মন চাচ্ছে না। এমন তো না যে থাকলে আমি অনেক কিছু হয়ে যাব। আর না থাকলে আমি ওমর সানী থাকব না। আমার আসলে মন চাচ্ছে না। এখন মানুষের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি না।

উত্তর দেব, না নিজের জীবন ঠিকঠাক রাখব?’
সামগ্রিক ঘটনার কারণেই কি এমন সিদ্ধান্ত? উত্তরে সানী বলেন, ‘না। আমি এত কিছু বিশ্লেষণ করব না। একটা সময় তো সমিতির সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সমিতিতে পড়ে থেকেছি। সমিতির জন্য কাজ করে গেছি। এখন আর মনে হয় না সমিতিতে থাকার দরকার আছে। একসময় অনেক ইচ্ছা ছিল সমিতি নিয়ে। এগিয়ে নেওয়ার আগ্রহ ছিল। এখন মনে হচ্ছে আমাদের দরকার নেই। আমরা না থাকলেও সমিতির কিছু যায়-আসে না।’

জানতে চাওয়া হয়, কোনো রাগ বা ক্ষোভ থেকে এমন সিদ্ধান্ত কি? ওমর সানী বলেন, ‘কিছু তো আছেই। সেসব বিষয়ে কিছু বলব না। কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। কারো নামে বিচারও চাইব না। আমি শুধু নিজের জায়গাটা ক্লিয়ার করলাম।’

তবে শিল্পী সমিতির নির্বাচন এবং নির্বাচন-পরবর্তী রিট বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি জানান, তিন-চার দিনের মধ্যে সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে সভাপতি বরাবর আবেদন করবেন। 

প্রসঙ্গত, গত ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। ফলাফল ঘোষণা হয় শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে। এতে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন জনপ্রিয় অভিনেতা মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তবে নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে এরই মধ্যে উচ্চ আদালতে রিট করেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। নিপুণের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২০ মে) বিজয়ী ডিপজল তাঁর পদে বসতে পারবেন না বলে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তারের অভিযোগ তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর পর থেকে নিপুণের বিরুদ্ধে এফডিসিতে মিছিল হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছে নতুন কমিটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat