×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৫-২৫
  • ৭৬ বার পঠিত
রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) মাত্র ৩০ শতাংশ জায়গা ব্যবহার করে কমপক্ষে ৩৩৩ মেগাওয়াট অতিরিক্ত সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। 

আজ শনিবার (২৫ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ডেইলি স্টার সেন্টারে চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ আয়োজিত ‘বাংলাদেশে সোলার নেট মিটারিংয়ের সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইপিজেড কর্তৃপক্ষ নেট মিটারিং ব্যবস্থায় অযৌক্তিক প্রতিবন্ধকতা দূর করে উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করা সম্ভব। এছাড়া সৌর উপকরণ আমদানির ওপর করের বোঝা কমানোর সুপারিশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ইশতিয়াক বারী। গবেষণায় দেখা যায়, দেশে গত ৭ বছরে মাত্র ১১০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ নেট মিটারিং পদ্ধতিতে যুক্ত হয়েছে, যার ৫৫ শতাংশ এসেছে বাণিজ্যিক ভবনের মাধ্যমে। নেট মিটারিংয়ের মাধ্যমে ৫৫.৬ শতাংশ শিল্প কার্বন ডাই অক্সাইড নি:সরণ কমেছে। রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলে নেট মিটারিংয়ের সুবিধা দেওয়া হলে মাত্র ৩০ শতাংশ এলাকা থেকে প্রায় ৩৩৩ মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী এম জাকির হোসেন খান। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি অর্থায়ন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ। ধারাবাহিক গবেষণার অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে বিশেষত ইপিজেড এলাকায় সোলার নেট মিটারিংয়ের সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা বিষয়ে একটি গবেষণা সম্পন্ন করেছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ইপিজেডগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে নেট মিটারিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা গেলে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা বাড়বে এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

এতে দেশের টেকসই অর্থনীতিকে নিশ্চিত হবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিইআরসির সদস্য (পাওয়ার) আবুল খায়ের মোহাম্মদ আমিনুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ইপিজেড এলাকায় নেট মিটারিং বাস্তবায়নের জন্য হুইলিং চার্জের একটি অংশ যদি ইপিজেড কর্তৃপক্ষকে দেওয়া যায়, তাহলে উভয়পক্ষ লাভবান হবে।’

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানিখাতকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। এরই অংশ হিসেবে টেস্টিং ল্যাব তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তীব্র গ্যাস সংকটের কারণে অনেকদিন ধরেই নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা যাচ্ছে না। তাই বিকল্প হিসেবে সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
গোলটেবিল আলোচনায় সোলার ও রিনিউয়েবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী নূরুল আকতার বলেন,  ‘অনেক শিল্প উদ্যোক্তাই সোলার নেট মিটারিং সম্পর্কে সঠিকভাবে জানেন না। সম্ভাবনাময় এই সেক্টরে নেট মিটারিং প্রতিষ্ঠা করা গেলে, শিল্প কারখানায় বিদ্যুতের চাহিদা অনেকটাই মিটবে।’

অনুষ্ঠানে নবায়নযোগ্য জ্বালানী খাতের উদ্যোগ সোল শেয়ারের পরিচালক সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘কোন ইপিজেডে এলাকাতেই নেট মিটারিং ব্যবস্থা চালু নেই। এটি করা গেলে বিদ্যুতের ঘাটতি অনেকটা দূর হবে। এটি বাস্তবায়নে পাবলিক, প্রাইভেট, পার্টনারশিপ (পিপিপি) চালু করতে হবে।’

সোলার নেট মিটারিংয়ের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক কমানোর দাবি জানান ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের পরিচালক সাইফ উদ দৌলা।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউটের রেক্টর মোহাম্মদ আলাউদ্দীন, এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ায়ের সম্পাদক মোল্লা আমজাদ, ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শামীম জাহাঙ্গীর, ডেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন মিয়া, শ্রেডার সাবেক সদস্য সিদ্দিক জোবায়ের, সহ নবায়নযোগ্য জ্বালানিখাত সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা।

অনুষ্ঠান শেষে চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভসহ ১২টি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও তরুণ সংগঠনের উদ্যোগে নবায়নযোগ্য জ্বালানি সপ্তাহ (২৬ মে-১ জুন) বিষয়ক কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat