ইরানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হঠাৎ মারা গেলে দেশটির সংবিধান অনুযায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট সর্বোচ্চ নেতার অনুমোদনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন। ইরানের বিভিন্ন গণমাধ্যমে রাইসির নিহত হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি মারা গেলে ইরানের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি।
আলজাজিরা ও রয়টার্স এর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
২০২১ সালের আগস্টে ইরানের প্রেসিডেন্ট হন ইব্রাহিম রাইসি। এর পরপরই খামেনির অনুমতি সাপেক্ষে মোহাম্মদ মোখবারকে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। সংবিধান সংশোধনের পরবর্তী সময়ে ইরানের সপ্তম ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ মোখবার।
তবে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসি নিহত হওয়ার সংবাদে এখন প্রশ্ন উঠেছে, কে হবেন ইরানের প্রেসিডেন্ট? এ নিয়ে ইতোমধ্যেই জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে। সবার আগে মোহাম্মদ মোখবারের নামই উচ্চারিত হচ্ছে।
ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট মারা গেলে বা কোনো কারণে দায়িত্ব পালনে সক্ষম না হলে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। পরবর্তী ৫০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে এবং নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে হবে।
নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলাবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট।
৬৩ বছর বয়সী কট্টরপন্থী রাইসি এর আগে দেশের বিচার বিভাগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে দেখা হয় তাকেই। তার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাও আরোপ আছে। রাইসির শাসনামলে ইরান পর্যাপ্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ হয়েছে যার মাধ্যমে নিউক্লিয়ার অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ইরান রাশিয়াকে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে বলেও ধারণা করা হয়। পাশাপাশি চলমান গাজা সংকটের মধ্যেই খুব সম্প্রতি ইসরায়েলের ওপর ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইয়েমেনের সশস্ত্র সংগঠন হুতি বিদ্রোহীদের এবং লেবাননের হিজবুল্লাহকে অস্ত্র সরবরাহ করছে ইরান।
এ জাতীয় আরো খবর..