প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের যোগাযোগ ব্যাবস্থা ও অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছেন। বিশ্বের দরবারে বাঙালি জাতিকে গৌরবৃদ্ধ মর্যাদা দিয়েছেন। মূলত তার প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে ছিন্তাই হয়ে যাওয়া দেশকে স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছেন।
আজ শুক্রবার সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এডুকেশন রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (ইয়ারডিএফবি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন-যোগাযোগ ব্যাবস্থার অভাবনীয় উন্নয়ন শীর্ষক এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীনের পর তাকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকান্ডের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতাকে ভুলন্ঠিত করা হয়েছে।
সামরিক জান্তার হাতে দেশ জিম্মি হয়ে পড়ে। পরিবারকে হারিয়ে দেশের জনগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে শেখ হাসিনা স্বদেশে ফিরে আসেন। মূলত তার এই প্রত্যাবর্তন দেশের স্বাধীনতাকে পুনরায় ফিরিয়ে দিয়েছে। তিনি দেশের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছেন।
বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা সৃষ্টি করেছেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস-এর বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, অবৈধ দলের কাছে এদেশ ছিনতাই হয়ে গিয়েছিল। শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে সেই দেশকে ফিরিয়ে এনেছেন। বঙ্গবন্ধু যে পথ দেখিয়ে গেছেন, তিনি সেই পেথেই হাটছেন। তিনি রাজাকার আলবদর ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করেছেন।
তবে এখনো অনেক উন্নয়ন বাকি আছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সৌমিত্র শেখির দে বলেন, ১৯৭১ সাল বাঙালির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়। পাকিস্তানিদের হাত থেকে একটি দেশ ছিনিয়ে আনা হয়েছে। ১৯৭৫ সালও অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে সেই স্বাধীনতা ভুলন্ঠনের পথে ছিল। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশ আবারো উন্নয়নে এগিয়ে যেতে শুরু করে। প্রধানমন্ত্রী থাকলে শুধু যোগাযোগ ব্যাবস্থা না, সব খাতেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বে ইউজিসি সদস্য ও ইআরডিএফবির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমাদের দেশের টেলিকমিউনিকেশনে অভুতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। যা বিশ্বের সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে সাহায্য করছে। শেখ হাসিনার বিগত ১০ বছরের দর্শন নিয়ে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যেতে হবে।
তরুণ সমাজের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ভালো করে ইতিহাস যাচাই করতে হবে। পৃথিবীর কোথাও বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা হয় না। পৃথিবীতে বঙ্গবন্ধু কন্যার মতো সুযোগ্য নেত্রী আর নেই। তবে আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে এটা সত্য। প্রাকৃতিক দুর্যোগে এই দেশে করোনার থাবা ও রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের বিরুপ প্রভাব পড়েছে।
বিশেষ অতিথিদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার এবং মাওলানা ভাষানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ আর এম সোলাইমান।
মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান। সভার উদ্বোধক বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খাঁন। এছাড়াও বক্তব্য দেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভুঁইয়া।
এ জাতীয় আরো খবর..