বৈদেশিক ঋণনির্ভর প্রকল্প বাস্তবায়নে বাড়তি পরিশ্রম করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যেসব প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান আছে সেগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ নজর দিতে হবে। এ ছাড়া প্রতি তিন মাস পরপর এসব প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে একনেকে একটি প্রতিবেদন দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে এসব নির্দেশনা দিয়েছেন সরকারপ্রধান।
এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম।
এ সময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার ও পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকারসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য এবং অন্যান্য সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, প্রকল্প বাস্তবায়নের দক্ষতা বাড়াতে প্রকল্প পরিচালকেরা প্রশিক্ষণ নিয়ে যাতে একই স্থানে কাজে যোগ দিতে পারেন সেজন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে পিডি পুল করতে হবে। চিকিৎসকেরা যদি পিডি হন তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। প্রকল্পের শুরুতেই সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সঠিকভাবে করতে। সেজন্য যেসব প্রতিষ্ঠান সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ করে তাদের জন্য নিবন্ধন করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা যে বৈদেশিক ঋণ নিচ্ছি সেগুলো বিচার বিশ্লেষণ করেই। আগের মতো সুতা লাগানো ঋণ নেওয়া হয় না। কারণ, ঋণ দিয়ে এটা করতে হবে ওটা করতে হবে এসব থাকলে আমরা সেই ঋণ নেই না।
আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন জানান, গত জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৪৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ হার ছিল ৫৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এনইসি বৈঠকে সব সচিবদের সামনে এ তথ্য তুলে ধরে এডিপি বাস্তবায়ন বৃদ্ধির জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ জাতীয় আরো খবর..