সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী তানজানিয়ার বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক আব্দুলরাজাক গুরনাহর বিখ্যাত বই ‘দ্য লাস্ট গিফট’। ইতালির তুরিন শহরে অনুষ্ঠিত বইমেলায় বিখ্যাত এই বইটি উপস্থাপন করেন তিনি। এ বইটি লিখেই নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন এই লেখক। ২০২১ সালে সাহিত্যে নোবেল পাওয়া এই বইটিতে তিনি অভিবাসীদের নিয়েই কথা বলেন।
ইতালির সংবাদমাদ্যম আনসাকে সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিশ্বজুড়ে সমাদৃত এই সাহিত্যিক বলেন, ‘অভিবাসনের বিষয়গুলোকে আরো বেশি মানবিক করে তোলার জন্য আমাদের একটি পথ খুঁজে বের করা উচিত।’’
অবশ্য এই অভিবাসন বলতে তিনি অনিয়মিত পথে এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে ইউরোপে পাড়ি জমানো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কষ্টের কথা তুলে ধরেন। গুরনাহ বলেন, ‘আমরা এমন গল্প শুনতে পাই যে আফগানিস্তান, সিরিয়া বা অন্য জায়গা থেকে যেখানে তাদের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে সেখান থেকে তারা সন্তানদের নিয়ে নিজ দেশ ত্যাগ করে ইউরোপের সীমান্তে পৌঁছয় শুধুই ফেরত চলে যাওয়ার জন্য। হাজার হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে আসার পর তাদেরকে পেটানো হয়, খারাপ আচরণ করা হয়।
এটি অমানবিক।’
অভিবাসনকে তিনি এই সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘সমস্যা হলো, যেই সমাজে তারা আশ্রয় নিচ্ছে সেই সমাজ তাদেরকে কিভাবে দেখে। আজকে প্রায় সব দেশেই এই অভিবাসীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি এমন যে এটি অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত।
তিনি আরো বলেন, ‘যদি নিয়মিত পথে অথবা নিয়ন্ত্রিত পথে সহায়তা ছাড়া অভিবাসন সম্ভব না হয় তাহলে সব সময়ই এমন লোক থাকবে যারা ঝুঁকি নেবে। এই বিষয়টি চলতেই থাকবে আর এটি থামানোর কোনো ভাষা বা তত্ত্ব নেই।’
১৯৪৮ সালে তানজানিয়ার জানজিবারে জন্ম নেওয়া এই নোবেল বিজয়ী ‘অধিবাসী’ কথারও ব্যখা দেন। তিনি বলেন, ‘প্রথমতো এটি হতে পারে ব্যাক্তির জন্ম ও পরিবারের স্থান। কিন্তু আমরা জানি, অনেক মানুষ ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে অধিবাসী হওয়ার এই ভাবনা অস্বীকার করেছে এবং তারা অন্য স্থানে অবস্থান করেছে।
নতুন কোনো স্থানে। অনেক লেখক এমনটা করেছেন। যেমন টি. এস. এলিয়ট এবং জোসেফ কোনরাড।’
সূত্র : ইনফোমাইগ্রেন্টস
এ জাতীয় আরো খবর..