দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে অংশ নেওয়ায় নেতাদের কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ প্রদান শুরু করেছে বিএনপি।
রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মঙ্গলবার (১৪ মে) অন্তত ৪৫ জন নেতাকে শোকজ নোটিশ প্রদান করেছে দলটি। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলে শোকজ নোটিশপ্রাপ্ত নেতাদের দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছে বিএনপি।
এদিকে উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় গতকাল আরো পাঁচজনকে প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
এর আগে ১৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। দ্বিতীয় ধাপের ভোটে অংশ নেওয়ায় ৬৪ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে দলটি। ৮ মে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে অংশ নেওয়া ৮০ জন নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। এ নিয়ে কয়েক দফায় ১৪৯ জনকে বহিষ্কার করেছে দলটি।
তবে প্রথম ধাপের নির্বাচনে বহিষ্কৃতদের মধ্যে সাতজন চেয়ারম্যান এবং তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
আজ বহিষ্কার হওয়া পাঁচ নেতা হলেন মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা মল্লিক (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী), মানিকগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মুন্নি আক্তার (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী), খুলনার খানজাহান আলী থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী), নওগাঁর সাপাহার থানা মহিলা দলের প্রচার সম্পাদক সুমি আক্তার (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী) এবং বগুড়া জেলা মহিলা দলের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সখিনা বেগম (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)।
তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে। গত রবিবার ছিল এই ধাপের নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন।
জানা গেছে, দলের কঠোর অবস্থানের মুখেও তৃতীয় ধাপে অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতা প্রার্থী হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আজ পর্যন্ত ৪৫ জনকে শোকজ নোটিশ প্রদান করেছে দলটি। শোকজ নোটিশপ্রাপ্ত এসব নেতার মধ্যে ১৮ জনের মতো চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন। বাকিরা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।
এ জাতীয় আরো খবর..