×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৫-১২
  • ৫১ বার পঠিত
খেলাপি ঋণ আদায় করতে না পেরে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) চেয়ারম্যান শামীমা নার্গিস। আজ রবিবার (১২ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

বিডিবিএল চেয়ারম্যান বলেন, বিডিবিএল এর চারটি ইনডিকেটরের মধ্যে তিনটিই ভালো আছে শুধু একটিতে একটু দুর্বল অবস্থায় আছে, খেলাপি ঋণ। আগে যেটা ৪১ শতাংশ ছিল, আমরা সেটা কমিয়ে ৩৪ শতাংশে নিয়ে এসেছি।

মার্জারের যে নীতিমালা আছে চারটি ইন্ডিকেটরের মধ্যে খেলাপি ঋণের বিষয়টা আলাদাভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরো বলেন, এক বছরে আমি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ৪১ থেকে ৩৪ শতাংশে এসেছি। ছয় মাসে ৩৪ থেকে ৫-১০ বা ১৫তে আসা সম্ভব না। খেলাপি ঋণ শুধুই আমার একটিভনেস না, যার যে খেলাপি তাকেও এগিয়ে আসতে হবে।

সে যদি এগিয়ে না আসে তার জামানত বিক্রি করতে হলেও আমাকে অনেকগুলো ধাপ অর্থঋণ আদালত, অর্থ ও জারি মামলাসহ বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে আসতে হবে। যেটা কোনোভাবেই ছয় মাসে সম্ভব না।
বিডিবিএল সময় নিতে পারত তারপরও কেন মার্জারে যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রাইভেট ব্যাংকগুলো যেমন গ্যারান্টি দিচ্ছে, আগামী এক বছরে এত হাজার কোটি টাকা আনব আমি সেই গ্যারান্টি দিতে পারছি না। কারণ আমাদের ব্রাঞ্চের সংখ্যা কম।

মাত্র ৫০ টি। কাজেই আমি যে সময় নিব বাংলাদেশ ব্যাংক তো আর আমাকে ৫-১০ বছর সময় দিবে না।
বিডিবিএলর কর্মীরা মার্জারে না যেতে খোলা চিঠির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিডিবিএল চেয়ারম্যান বলেন, এখানে দুই ব্যাংকের পর্ষদ মিলে একীভূতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কাজেই তারা অনেক কিছু প্লাস মাইনাস করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  যেটা বেটার হয় সেটা করা হয়েছে।

এসময় সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী বলেন, আমরা অনেক চিন্তা ভাবনা করেই মার্জারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা কোনো চাপের মুখে নয়, নিজেরাই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের দুই ব্যাংকের দুই ধরনের অভিজ্ঞতা আছে। সেগুলা কাজে লাগিয়ে আমরা এগিয়ে যাব। আজকে বিডিবিএলের চেয়ারম্যানও ছিলেন এখানে। তার কিছু প্রশ্ন ছিল। গভর্নর সেগুলোর সন্তোষজনক জবাব দিয়েছেন। 

সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বলেন, সোনালী ব্যাংকের আমানত এই মুহুর্তে এক লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকা। অপরদিকে বিডিবিএলের তিন হাজার ২০০ কোটি টাকা। যা প্রায় ৫০ ভাগের এক ভাগ। একই অবস্থা লোনের ক্ষেত্রেও। কাজেই এটা সোনালী ব্যাংকে খুব বেশি ইফেক্ট পড়বে না। আর বিডিবিএল এর কর্মকর্তাদের শঙ্কা বা আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নাই। আমাদের প্রয় ৮ হাজার কর্মী আছে তারপরও অনেক লোকবল প্রয়োজন, আর বিডিবিএল-এর ৬০০র মতো কর্মী আছে। সুতরাং তাদের শঙ্কার কিছু নাই।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat