মাউন্ট এভারেস্টে বিশ্বের সবচেয়ে দক্ষ আরোহণকারী গাইডদের একজন রবিবার ২৯তম বারের মতো পৃথিবীর সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছেছেন। এর মাধ্যমে সবচেয়ে বেশিবার চূড়ায় গিয়ে নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙলেন তিনি। এ অভিযানের সংগঠকরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
রিতার অভিযানের সংগঠক সেভেন সামিট ট্রেকস থেকে মিংমা শেরপা বলেছেন, কামি রিতা স্থানীয় সময় রবিবার ভোরে ২৯ হাজার ৩২ ফুট উচু শিখরে পৌঁছেছেন।
তিনি সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে। তিনি ইতিমধ্যে পাহাড়ের নিচের শিবিরে যাওয়ার পথে রয়েছেন। পাহাড়ের আবহাওয়া ভালো এবং চূড়ায় আরোহণের জন্য অনুকূল।
এর আগে রিতা গত সপ্তাহে বেস ক্যাম্প থেকে তার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন, ‘বিশ্বের শীর্ষে ২৯তম সামিটে আবার ফিরছি...একজনের কাজ, অন্য পুরুষ/নারীর স্বপ্ন।
রিতা গত বছর দুইবার মাউন্ট এভারেস্ট আরোহণ করেছিলেন। তিনি ও সহযোগী শেরপা গাইড পাসাং দাওয়া বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের সর্বাধিক আরোহণের খেতাবের জন্য একে অপরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দাওয়া ২৭ বার পাহাড়ের চূড়ায় উঠেছেন। রিতা প্রথম এভারেস্টে আরোহণ করেছিলেন ১৯৯৪ সালে এবং তার পর থেকে প্রায় প্রতিবছরই শীর্ষে আরোহণ করছেন।
এভাবে তিনি ‘এভারেস্ট ম্যান’ নামে পরিচিতি পেয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বিদেশি পর্বতারোহীদের জন্য অত্যাবশ্যক গাইড হিসেবে খ্যাতি তৈরি করেছেন।
এ ছাড়া রিতা তার বাবার উত্তরাধিকারও, যিনি প্রথম শেরপা গাইডদের মধ্যে একজন ছিলেন।
বিশ্বের ১০টি সর্বোচ্চ শৃঙ্গের আটটির অবস্থানই নেপালে। প্রতি বসন্তে শত শত মানুষ দেশটিতে ভিড় করে, যখন তাপমাত্রা উষ্ণ ও বাতাস অনুকূলে থাকে।
নেপালের কর্তৃপক্ষ বিদেশি পর্বতারোহীদের আরোহণের জন্য শত শত পারমিট ইস্যু করায় এই মাসে শত শত লোক পর্বতে আরোহণের চেষ্টা করবে। গত বছর ছয় শতাধিক পর্বতারোহী এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছিলেন। কিন্তু ১৮ জনের প্রাণহানিসহ এটি ছিল পর্বতের সবচেয়ে ভয়াবহ মৌসুম।
সূত্র : আলজাজিরা
এ জাতীয় আরো খবর..