পরীক্ষা মানেই চিন্তা। পরীক্ষা মানেই টেনশন। এমন মনে করেন অনেক মানুষই। কিন্তু আল্লাহ রব্বুল আলামিন পৃথিবীতে প্রেরণই করেছেন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাওয়ার জন্য। তাই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে জন্মের পর থেকেই আল্লাহ রব্বুল আলামিন বান্দাকে সতর্ক করে দিয়েছেন।
আর দুনিয়ার পরীক্ষা শেষে মানুষ অপেক্ষা করে ফলাফলের জন্য। আর ফলাফল অনেক সময় মনের মতো হয়, আবার অনেক সময় হয় না। এজন্য অবশ্যই দোয়ার বিকল্প নেই। ভালো পরীক্ষা দিয়ে থাকলে ফলাফলও ভালো হয়। তাই পরীক্ষায় ভালো করতে যা যা দরকার তা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। দোয়া তো করতেই হবে।
কারণ দোয়া একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। যে কোনো সময় যে কোনো দোয়া পড়া যায়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রসুল সা. আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন। এমনকি ছোট থেকে ছোট বিষয়েরও দোয়া শিখিয়েছেন।
পরীক্ষা শেষে আশানুরূপ ফল পেতে এ দোয়াটি পড়তে পারেন:
اللَّهُمَّ لَا سَهْلَ إلاَّ مَا جَعَلْتَهُ سَهْلاً، وأنْتَ تَجْعَلُ الحَزْنَ إذَا شِئْتَ উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা লা-সাহলা ইল্লা মা জায়ালতাহু সাহলান, ওয়া আনতা তাজআলুল হুজনা সাহলান ইজা শিইতা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি যা সহজ করে দেন তা ছাড়া কোনো কিছুই সহজ নেই। আর আপনি চাইলে পেরেশানিযুক্ত কাজও সহজ করে দেন।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান: ৯৭৪)
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন,
তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়ে থাকে। যদি সে তাড়াহুড়া না করে আর বলে যে, আমি দোয়া করলাম, কিন্তু আমার দোয়া তো কবুল হলো না। (বুখারি ৬৩৪০)
হাদিসে এসেছে, হযরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, কোনো ব্যক্তি (আল্লাহর কাছে) কোনো কিছু প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাআলা তাকে তা দান করেন। অথবা তদানুযায়ী তার থেকে কোনো অমঙ্গল প্রতিহত করেন। যতক্ষণ না সে কোনো পাপাচারে লিপ্ত হয় বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য দোয়া করে। (তিরমিজি)
রসুল সা. বলেছেন, যদি কেউ চায় যে বিপদের সময় তার দোয়া কবুল হোক, তাহলে সে যেন সুখের দিনগুলোতে বেশি বেশি দোয়া করে। (তিরমিজি ৩৩৮২)
হযরত সালমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দোয়া ছাড়া আর কিছুই তাকদির পরিবর্তন করতে পারে না আর নেক আমল ছাড়া আর কিছুই বয়সে বৃদ্ধি ঘটায় না। (সহিহাহ ১৫৪, তিরমিজি ২১৩৯)
এ জাতীয় আরো খবর..