তাসকিন আহমেদ আর আক্ষেপ যেন একসূত্রে গাঁথা। আশার বেলুন ফুলিয়ে ২০২৩ বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিলেন ভারতে। তখন তাসকিন ক্যারিয়ারের সেরা অবস্থায়। অথচ কাঁধের চোট কিনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠল বিশ্বকাপে।
যার ফল, বিশ্বকাপজুড়েই অচেনা এক তাসকিনকে দেখা গিয়েছিল। সব মিলিয়ে সাত ম্যাচ খেলে নেন মাত্র পাঁচ উইকেট। বিশ্বকাপের পর শুরু হয় তাঁর পুনবার্সনপ্রক্রিয়া। প্রায় আড়াই মাসের সেই পুনবার্সনপ্রক্রিয়া শেষে তিনি মাঠে ফেরেন চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিপিএল দিয়ে।
মাঝে খেলা হয়নি ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। বিপিএলের শুরুতেও ছন্দ পেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। ধীরে ধীরে মানিয়ে নেন। তখনো সেরা অবস্থার তাসকিনকে দেখা যায়নি।
তবে নিজেকে পুরোপুরি ফিরে পেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ থেকে নয়, টেস্ট ক্রিকেট থেকেই বিরতি চেয়েছিলেন এই পেসার। সেই সুবাদে লাল বলের চুক্তিতেও আর নেই তাসকিন।
ঝড়ঝাপ্টা শেষে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাদা বলের দুই সংস্করণে ফেরেন। নিজেকে ফিরে পাওয়ার প্রথম ধাপে। সর্বশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে বেশ হিসাবি বোলিং করেছেন তাসকিন।
এখন পর্যন্ত ৬ উইকেট নিয়েছেন। প্রথম ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কারও ওঠে তাঁর হাতে। তবে উইকেটের চেয়েও তাসকিনের বোলিংয়ের উল্লেখযোগ্য বিষয়, লাইন-লেংথ এবং গতি ফিরে পাচ্ছেন তিনি। আজ চতুর্থ টি-টোয়েন্টিপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তাসকিন বলছিলেন, ‘ফাস্ট বোলারদের জন্য ছন্দ অনেক বড় বিষয়। ভালো অনুশীলন তো করছিই। যেহেতু আমি ফাস্ট বোলার, শুধু বৈচিত্র্য নয়, এর সঙ্গে যেন গতিটাও ঠিক থাকে। সবাই আশা করে, যেন দ্রুতগতিতে বল করি। এটা পুরোটাই হচ্ছে ছন্দের ব্যাপার। ভালো হচ্ছে। আশা করছি, সামনেও অনেক ভালো হবে।’
বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে পারলে পেসারদের উন্নতি আরো বেশি হবে বলে মনে করেন তাসকিন, ‘সুযোগ পেলে ফাঁকা সময়ে আমাদের কিছু পেসার যদি বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলে, সে ক্ষেত্রে উন্নতিটা আরো বেশি হবে।’
এ জাতীয় আরো খবর..