মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ সরকারের বিরোধিতা করা বিএনপির স্বভাব বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানী মোহাম্মদপুর টাউন হলে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগারে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভা ও মিলাদ-দোয়ায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি সরকারের বিরোধিতা করতে করতে তাদের নিজের খাসলতে পরিণত হয়েছে। যতদিন না তারা এটি থেকে বের হতে না পারবেন, লন্ডনে থাকা তারেক জিয়াকে পরিত্যাগ করতে না পারবেন ততদিন তারা রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত নিতেই থাকবেন।
বিএনপি নেতাদের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আজকে যারা বড় বড় কথা বলেন, ঘুম থেকে উঠেই আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন। শেখ হাসিনার শাসনামলের চেয়ে কোন আমল ভাল ছিল এটা আমার মঈন খানদের (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খানকে) প্রতি প্রশ্ন।
১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধু সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনের বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের সেই ভয়াবহ ঘটনার পর তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে জার্মানির ফ্রাংকফুটে বঙ্গবন্ধুর কন্যাদের সঙ্গে দেখা হয়। সেখানে তারা সেই সরকারের প্রতি তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনকে অনাস্থা জানাতে বললেও সেই প্রতিবাদটুকু বা অনাস্থা জানাতে অস্বীকার করেছিলেন তিনি।
এসময় ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতিচারণ করে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, রাজনীতির সুবাধে আমি ওয়াজেদ মিয়ার একজন অত্যন্ত স্নেহ ধন্য মানুষ ছিলাম। তার সঙ্গে অনেক স্মৃতি কথা রয়েছে। স্নেহ ধন্য মানুষ হিসেবে আমি গর্বিত তার শেষ যাত্রায় মরদেহের সঙ্গে সঙ্গী ছিলাম। আমি অনেক কথা জানি। তিনি আমাদের কাছে নিবৃত্ত জ্ঞানী, পন্ডিত ও সুধীজন ছিলেন।
ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়াকে ক্ষমতার মোহ কখনোই স্পর্শ করতে পারেনি মন্তব্য করে নানক বলেন, তার মধ্যে কোন আত্ম-অহমিকা ছিল না। স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে কারাভোগও করেন।
স্বরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ও পাঠাগার পরিচালনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নূরুন নবী ভোলা।
স্মরণ সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী এমপি, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন চেয়ারম্যান ড. মো: শৌকত আকবর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোঃ-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মোঃ আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (এমসিএইচ-সার্ভিসেস) ডাঃ মোঃ মনিরুজ্জামান সিদ্দীকী সহ প্রমুখ।
এ জাতীয় আরো খবর..