বাংলাদেশের দর্শকদের ভয়ই পাইয়ে দিয়েছিল জিম্বাবুয়ের নবম উইকেট জুটি! স্বাগতিকদের দেওয়া ১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় এক পর্যায়ে ৯১ রানে ৮ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। এখান থেকে জিম্বাবুয়ে যে প্রতিরোধ গড়তে পারে, এটা যে কাউকে বিশ্বাস করানো কঠিনই ছিল। ৫৪ রানের জুটিতে সেই কঠিন কাজটাই করেন ফারাজ আকরাম ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য ম্যাচটা বের করতে পারেননি তাঁরা।
শেষ ওভারে সফরকারীরা ২১ রানের সমীকরণ মেলাতে না পারলে বাংলাদেশ ম্যাচ জেতে ৯ রানে। চট্টগ্রামেই সিরিজ জয়কে পাখির চোখ করেছিল স্বাগতিকরা। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সেই কাজ অনেকটাই এগিয়ে রেখেছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আজ তৃতীয় টি-টোয়েন্টি জিতে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্য তাড়ায় ৯ উইকেটে ১৫৬ রানে থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। প্রথম দুই ম্যাচের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এদিনও প্রথম ১০ ওভারে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে সফরকারীরা। ৪৮ রানে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে দলের সেরা ব্যাটার সিকান্দার রাজা আউট হওয়ার পর জিম্বাবুয়ের পরাজয় তখন কেবল সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল। আগের দুই ম্যাচেও ডানা মেলতে পারেননি জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক।
আজ লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের বলে উইকেটকিপার জাকের আলী অনিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১ রান করে আউট হন রাজা।
এর আগে আউট হয়ে ফেরেন জয়লর্ড গাম্বি (৯), ব্রায়েন বেনেট (৫), ক্রেইগ আরভিন (৭) ও টাডিওয়ানাশে মারুমানি (৩১)। মাঝে ক্লাইভ মাদান্ডের ১১ ও জোনাথন ক্যাম্পবেলের ঝোড়ো ২১ রান হারের ব্যবধান কমানো ইনিংসই মনে হচ্ছিল। কিন্তু তা ভুল প্রমাণ করেন আকরাম ও মাসাকাদজা। ১৯ বলে সমান দুটি করে চার ও ছক্কায় ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন আকরাম।
শেষ ওভারে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে আউট হওয়ার আগে মাসাকাদজা করেন ১৩ রান করেন।
শুরুর দিকে ভালো করতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররাও। প্রথম তিন ব্যাটার লিটন দাস ১৫, নাজমুল হোসেন শান্ত ৬ ও তানজিদ হাসান তামিম ২১ রান করে আউট হন। তবে চতুর্থ উইকেটে ৮৭ রানের জুটিতে বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ এনে দেন তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলী অনিক। ফিফটি পূর্ণ করার পর তাওহিদ আউট হন ৫৭ রান করে। তাঁর ৩৮ বলের ইনিংসটি সাজানো ৩ চার ও ২ ছক্কায়। সমান চার-ছক্কায় ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন জাকের। দুজনই আউট হন মুজারাবানির বলে। শেষদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৯ ও রিশাদ হোসেন ৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
এ জাতীয় আরো খবর..