যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আওয়ামী লীগ কোনো সংঘাতে নেই, তবে সত্য বলায় যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে আঘাত লাগলে কিছুই করার নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৫ মে) ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
রোববার (৫ মে) ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
মো. মাহাদী ইসলাম ধ্রুব
রোববার (৫ মে) ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই। তবে সত্য বললে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তো কিছু করার নেই। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ দমনে যে আচরণ করা হয়েছিল, একই রকম নির্মম আচরণ এখন করা হচ্ছে। এটা বললে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার কী আছে?
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের মানবাধিকার, নির্বাচন, গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারলে আমরা কেন বলতে পারব না প্রায় প্রতিদিনই যুক্তরাষ্ট্রে গান ভায়োলেন্স হচ্ছে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে তারা কথা বলে। আমরা কি এসব নিয়ে কথা বলতে পারব না? আমাদের দেশে তারা যে দৃষ্টিতে মানবাধিকার দেখে সে দৃষ্টিতে নিজের দেশে দেখবে না কেন? তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব নেই এমন কথা তো আমরা বলিনি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে যখন বিরোধীরা ধ্বংসযজ্ঞ চালায়, যখন সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়, পুলিশকে পিটিয়ে মারে তখন যুক্তরাষ্ট্র চুপ থাকে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যুদ্ধের কারণে বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে তা বাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশ এ প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। আমদানি-রফতানি, জ্বালানি, ডলার সংকট এগুলো অর্থনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তাই সে ক্ষেত্রে আমরা চাপে আছি। যেমন: দ্রব্যমূল্যের যে চাপ তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই।’
তিনি বলেন, প্রতীক ছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনের রেকর্ড আছে। প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করলে নির্বাচন বেশি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে—এমন চিন্তা থেকে আমরা প্রতীক দিইনি। এর মানে এই নয় যে অন্য দলগুলো নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ান আব্দুস সবুর, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
এ জাতীয় আরো খবর..