উচ্চ ফলনশীল দুটি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। যার মধ্যে ব্রি-১০৫ জাতের ধানের চাল বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী বলে দাবি করছে ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী ও পুষ্টিবিদরা। এ জন্য এটিকে বলা হচ্ছে ‘ডায়াবেটিক চাল’।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী এসব ধান। ছবি: সময় সংবাদ
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী এসব ধান। ছবি: সময় সংবাদ
আতিয়ার সজল
জাতীয় বীজ বোর্ডও এ দুটি ধানকে অনুমোদন দিয়েছে। ফলে এখন দুটি জাতই মাঠ পর্যায়ে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
ফেনীর উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজীর চরচান্দিয়া এলাকার ৮০ বিঘা জমিতে চাষ করা হয়েছে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী এসব ধান। ৩০ জনেরও বেশি কৃষক এই ধান চাষ করে অধিক ফলনও পেয়েছেন।
ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডক্টর বিশ্বজিৎ কর্মকার বলেন, এ ধানটি কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বা জিআইসম্পন্ন হওয়ার কারণেই এটিকে ‘ডায়াবেটিক চাল’ বলা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘অতিরিক্ত ছাটাই করা চাল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আমাদের দেশে মাড় ফেলে ভাত খাওয়ার কারণে এমনি পুষ্টি কম পাওয়া যায়। এ অবস্থায় ব্রি-১০৫ বেশ আগ্রহ তৈরি করেছে, কারণ এটিতে পুষ্টিমান যেমন আছে তেমনি জিআই অনেক কম।’
নতুন ধানের বৈশিষ্ট্যের কথা জানিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নতুন উদ্ভাবিত ব্রি-১০৫ ধানের চাল ‘ডায়াবেটিক চাল’ হিসেবে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
কর্মকর্তারা বলছেন, তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে এ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলার পর এই ধানকে অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় বীজ বোর্ড।
এ জাতীয় আরো খবর..