ভোলার শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের টবগী ১ গ্যাস কূপের খনন শুরু করা হয়েছে। এটি করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি খাতের কোম্পানি গ্যাজপ্রম।শুক্রবার সকাল থেকে এ গ্যাসক্ষেত্রের নতুন কূপের খননের কাজ শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে সেখানকার আরও দুটি কূপের খননের কাজ করবে রুশ কোম্পানিটি।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানির (বাপেক্স) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে এই কূপের খনন কাজ উদ্বোধন করেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। এতে উপস্থিত ছিলেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. নাজমুল আহসানসহ বাপেক্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
দুই বছর আগে বাপেক্সের একটি অনুসন্ধান দল ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ করে গ্যাসের জন্য সম্ভাবনাময় বিবেচিত ভোলার তিনটি স্থানে গ্যাসের সন্ধান পায়। ইলিশা ১, ভোলা নর্থ ২ ও টবগী ১ গ্যাস কূপ। এগুলো নিয়ে জেলাটিতে বর্তমান গ্যাস কূপের সংখ্যা দাঁড়ায় নয়টি।
বাপেক্সের ভূতাত্ত্বিক জরিপের ভিত্তিতে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে টবগী ১ কূপ থেকে দৈনিক ২০ থেকে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশার কথা জানানো হয়।তবে বৃহস্পতিবার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বলা হয়েছে, খনন শেষ হলেই বোঝা যাবে এখানে কত গ্যাস আছে।
আজ (শুক্রবার) বাপেক্সের এমডি মোহাম্মদ আলী জানান, এ গ্যাসক্ষেত্রে নতুন পাওয়া আরও দুটি অনুসন্ধান কূপ ইলিশা ১ এবং ভোলা নর্থ ২ এর খনন করবে গ্যাজপ্রম। তবে এ দুটিতে কবে খননের কাজ শুরু হবে সেটি জানাননি তিনি।
তিনি বলেন, ‘বাপেক্সের সঙ্গে গ্যাজপ্রমের একটি চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে গ্যাজপ্রম খনন কাজ সম্পন্ন করবে। তখন জানা যাবে এখানে কী পরিমাণ গ্যাস রয়েছে।’
বাপেক্স জানায়, বর্তমানে শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন গড়ে ৪৫-৪৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে, যা দেশের চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, একটি কারখানা এবং আবাসিকে সরবরাহ করা হচ্ছে।
এ জাতীয় আরো খবর..