জিম্বাবুয়েজুড়ে হামের প্রাদুর্ভাব মহামারি আকার ধারণ করেছে। হামে মারা গেছে ১৫৭ শিশু। এ ছাড়া এই রোগের প্রাদুর্ভাব এতটাই তীব্রভাবে দেখা দিয়েছে যে, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে মৃতের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার জিম্বাবুয়ের তথ্যমন্ত্রী মনিকা মুতসভাংওয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য গত সপ্তাহে অ্যাপস্টোলিক গির্জা সম্প্রদায়কে দায়ী করে জিম্বাবুয়ের সরকার। সরকার বলছে, যারা টিকা নেয়নি তাদের মধ্যেই হাম ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকপরবর্তী ব্রিফিংয়ে জিম্বাবুয়ের তথ্যমন্ত্রী মনিকা মুতসভাংওয়া বলেন, গত চার দিনে দেশব্যাপী হামে আক্রান্ত মোট সন্দেহভাজন রোগীর সংখ্যা এক হাজার ৩৬ থেকে বেড়ে ২ হাজার ৫৬ জনে পৌঁছেছে। সন্দেহভাজন এসব শিশু রোগীর বেশিরভাগের বয়স ছয় মাস থেকে ১৫ বছরের মধ্যে এবং এসব শিশুরা এমন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সদস্য যারা টিকাদানে বিশ্বাস করে না।
মুতসভাংওয়া বলেছেন, আক্রান্তদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হামের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য টিকা দেওয়া হয়নি। এই জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য সিভিল প্রোটেকশন (নাগরিক সুরক্ষা) ইউনিট সম্পর্কিত আইন ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
তিনি আরও বলেন, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে স্কুল খোলার আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় টিকাদান কর্মসূচি আরও জোরালো করেছে। অন্যদিকে এ বিষয়ে সমর্থনের জন্য ঐতিহ্যবাহী এবং ধর্মীয় নেতাদের দ্বারস্থ হয়েছে সরকার।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, হামের এই প্রাদুর্ভাব জিম্বাবুয়ের স্বাস্থ্য খাতে আরও চাপ সৃষ্টি করতে চলেছে। মূলত আফ্রিকার এই দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে ওষুধের অভাব এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের ধর্মঘটের কারণে ভুগছে।
এ জাতীয় আরো খবর..