সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মাঠের পারফরম্যান্স যাচ্ছেতাই। লাল জার্সির ওপর পর্তুগিজ তারকারও মন উঠে গেছে। হন্যে হয়ে ছাড়তে চাচ্ছেন ওল্ড ট্রাফোর্ড। কাজের জায়গায় মন না বসলে যা হয়, রোনালদোর অবস্থা তেমনই। ‘বস’ এরিক টেন হাগের সঙ্গেও নাকি সম্পর্কটা খুব ভালো যাচ্ছে না। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে ‘মন না বসা’ রোনালদোকে ছেড়ে দেওয়ার কথাও নাকি ভাবছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটে। তারা যদি সত্যি সত্যি রোনালদোকে ছেড়ে দেয়, তাহলে ৩৭ বছর বয়সী বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার যে ‘কর্মহীন’ হয়ে পড়তে পারেন। তাঁর যা বেতন, সেটি দিয়ে তাঁকে পোষার ক্ষমতা যে এই মুহূর্তে বিশ্বের খুব কম ক্লাবেরই আছে। যাদের আছে, তারাও তো সোজাসাপটাই জানিয়ে দিয়েছে, রোনালদো আসতে চাইলেও তাঁকে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনাই তাদের নেই।
খারাপ সময় আরও একটি খারাপ খবর রোনালদোর জন্য। ব্রিটিশ পুলিশ এই মহাতারকাকে একটা ঘটনায় সতর্ক করে দিয়েছে। গত এপ্রিলে (গত মৌসুমে) এভারটন-ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ম্যাচের ঘটনা সেটি। ইউনাইটেড ১-০ গোলে হেরে যাওয়ার পর এভারটনের এক ভক্তের মুঠোফোন চাপড় মেরে ফেলে দিয়েছিলেন। মার্সেসাইড পুলিশ সে ঘটনা তদন্ত করে পর্তুগিজ তারকাকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এমন ঘটনা ভবিষ্যতে আবার ঘটলে রোনালদোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোনালদো নিজেই এই ঘটনার ব্যাপারে জেরায় হাজির হয়েছিলেন মার্সেসাইড পুলিশের কার্যালয়ে। সেখানে তিনি ঘটনাটির ব্যাপারে নিজের স্বীকারোক্তি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। গত এপ্রিলেও ম্যাচের পরে নিজের ইনস্টাগ্রামে সেটি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তিনি সেই এভারটন-ভক্তকে ওল্ড ট্রাফোর্ডে তাঁর অতিথি হিসেবে একটি ম্যাচ দেখারও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
গত এপ্রিলে গুডিসন পার্কে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে এভারটনের কাছে ১-০ গোলে হেরে গিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ম্যাচ হারার পর হতাশ-বিধ্বস্ত রোনালদো যখন ড্রেসিংরুমে ফিরছিলেন, তখন এক এভারটন-ভক্ত মুঠোফোন দিয়ে তাঁর সঙ্গে সেলফি তোলার চেষ্টা করেছিলেন। সে সময় রোনালদো বিরক্ত হয়ে সেই ভক্তের হাতে চাপড় মারেন। তাতে ভক্তটির হাত থেকে মুঠোফোন পড়ে যায়। ঘটনার ভিডিওটি সে সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়ে যায়। শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। ঘটনার পরদিন রোনালদো নিজে ইনস্টাগ্রামে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের উচিত নিজের আবেগ সংযত রেখে তরুণদের সামনে উদাহরণ তৈরি করা। আমি আমার প্রতিক্রিয়ার জন্য গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
মার্সেসাইড পুলিশ ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেছে, ‘রোনালদো নিজেই এই ঘটনার তদন্তে সহায়তা করতে আমাদের এখানে এসেছিলেন। তাঁকে বিষয়টি নিয়ে জেরা করা হয়েছে। তিনি বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। নাগরিককে শারীরিকভাবে হেনস্তা করা ও নাগরিকের সম্পদ ভাঙচুরের অভিযোগে এই জেরার সম্মুখীন হতে হয়েছে।’
এ জাতীয় আরো খবর..