×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৮-১১
  • ৭৯ বার পঠিত
নদ-নদী খনন ও নৌপথের নিয়মিত পলি অপসারণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত এসব কাজের অগ্রগতি ও অর্থব্যয় সম্পর্কিত সকল তথ্য জনগণকে অবহিত করতে প্রতি মাসে ওয়েবসাইটে প্রকাশেরও দাবি জানানো হয়েছে।

আজ বুধবার এক বিবৃতিতে জাতীয় কমিটির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এ দাবি জানান। বিবৃতিতে চলমান ‘চার নদী খনন’ কাজে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়, ‘পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তুলাই ও পুনর্ভবা নদীর নাব্য উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহীর কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদিত হয়েছিল; যার মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩০ জুন শেষ হবে।

কিন্তু চার হাজার ৩৭১ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজে গত প্রায় চার বছরেও আশানুরূপ অগ্রগতি দেখাতে পারেনি বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
বিবৃতিতে বলা হয়, বেসরকারি ঠিকাদারদের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ে খনন কাজ সম্পন্নের বাধ্যবাধকতা থাকলেও বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন প্যাকেজে দরপত্র আহ্বানের পর সেগুলো মূল্যায়নের ক্ষেত্রে অহেতুক কালক্ষেপণ করা হচ্ছে। এতে যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলো যথাসময়ে কার্যাদেশ পাচ্ছে না। এমনকি একসঙ্গে একাধিক প্যাকেজের অধীনে জমা হওয়া অনেকগুলো পৃথক দরপত্র মূল্যায়ন ও কার্যাদেশ প্রদানের আগেই নতুন দরপত্র আহ্বান করা হচ্ছে। এ ছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে পছন্দের ঠিকারদারকে কার্যাদেশ প্রদানের অভিযোগও উঠেছে। এতে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

উন্নয়ন ও সংরক্ষণখাতের (রাজস্বখাত) আওতায় সচল নৌপথ খনন ও পলি অপসারণ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জাতীয় কমিটি। কমিটি বলেছে, যাত্রী ও পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ নৌপথগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া যৌক্তিক হলেও এ ক্ষেত্রে তা করা হচ্ছে না। নাব্যসংকটের কারণে অনেক নৌপথে জাহাজ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই নৌযান মালিক ও শ্রমিকরা অভিযোগ করে আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারভিত্তিক এসব কাজে কোনো ধরনের গাফিলতি ও অনিয়ম গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করেছে কমিটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat