রাজধানীতে ওয়েবিলের নামে ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রীদের ভোগান্তি রোধে এবং অতিরিক্ত বাস ভাড়া বন্ধ করে নতুন ভাড়া যথাযথভাবে কার্যকর করতে রবিবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন সাত ম্যাজিস্ট্রেট।
গতকাল শনিবার (৬ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থা (বিআরটিএ) ভবনে সংবাদ সম্মেলনে সড়ক সচিব এ বি এম আমিনুল্লাহ নুরী এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, ভাড়া বাড়ানোর পরই মনিটরিং শুরু হয়। গতবারও ভাড়া বাড়ানোর পর বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেটরা রাস্তায় ছিলেন।
অতিরিক্ত ভাড়া রোধে তাদের সাতজন ম্যাজিস্ট্রেট সব সময় রাস্তায় থাকেন। তারা সপ্তাহের ছয় দিন সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কাজ করছেন।
তিনি আরো বলেন, ওয়েবিল একটি অবৈধ জিনিস। যাত্রীদের পকেট কাটা সিস্টেম মেনে নেওয়া হবে না। জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করবে, তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভাড়া মনিটর করতে। যাতে কেউ যাত্রীদের থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করতে না পারেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ বলেন, 'আমাদের ব্যয় ৭০ শতাংশ বেড়ে গেলেও জনগণের কথা মাথায় নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। কেউ যদি অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। মালিক সমিতিও এ বিষয়ে কঠোর আছে। '
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী।
এ জাতীয় আরো খবর..