ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জলসীমায় চীনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র এবং ইন্দোনেশিয়ার সামরিক বাহিনী বুধবার ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে বার্ষিক যৌথ যুদ্ধ মহড়া শুরু করেছে। বার্তা সংস্থা এপির বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বুধবার শুরু হওয়া ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের বার্ষিক এই মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইন্দোনেশিয়ার পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও সিঙ্গাপুরের পাঁচ হাজারের বেশি সেনা অংশ নিচ্ছে। ২০০৯ সালের পর প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম এতো বড় মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এই ব্যাপারে জাকার্তায় মার্কিন দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, একটি মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য সক্ষমতা, আস্থা ও সহযোগিতা জোরদার করার জন্য মহড়া শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে মার্কিন সেনাবাহিনী প্যাসিফিক অঞ্চলের কমান্ডিং জেনারেল চার্লস ফ্লিন এক বিবৃতিতে বলেন, এটা (মহড়া) যুক্তরাষ্ট্র-ইন্দোনেশিয়ার বন্ধন এবং এই অঞ্চলের স্থল বাহিনীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের প্রতীক।
এদিকে, ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর কেন্দ্র করে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।
এমন প্রেক্ষাপটে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত থেকে তাইওয়ান দ্বীপের কাছে কয়েকটি সামরিক অভিযান চালাবে তারা। এ ছাড়া দক্ষিণ চীন সাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্রে সীমান্তের কাছে বাড়ছে সাঁজোয়া গাড়ি এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম।
টুইটারে ‘ইয়িন সুরা’ নামের একটি হ্যান্ডল থেকে ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, চীনের ফুজিয়ানের ব্যস্ত রাস্তায় সারি সারি ট্যাংক পেরিয়ে যাচ্ছে।
অন্য একটি ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে, পেলোসি তাইওয়ান পৌঁছানোর দিন সন্ধ্যাতেই তাইওয়ান সীমান্তের কাছে সেনাবাহিনী নিয়ে জমায়েত করতে শুরু করেছে চীন।
এ জাতীয় আরো খবর..