মালয়েশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা রক্ষায় একসাথে কাজ চালিয়ে যাবে।
২ আগস্ট মঙ্গলবার মালয়েশিয়ায় সফররত মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সম্মানে আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি ইসমাইল সাবরি ইয়াকোব এ কথা বলেন।
পেলোসি ও তার কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল এশিয়ার চারটি দেশে সরকারি সফরের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ভোরে মালয়েশিয়া পৌঁছেন।
ইসমাইল সাবরি তার স্বাগত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, উভয় দেশ অর্থনীতি, বিনিয়োগ, স্বাস্থ্য এবং প্রতিরক্ষাসহ সব ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক উপভোগ করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অংশীদারিত্ব আরও জোরদার হয়েছে গত ১২ থেকে ১৩ মে ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত আসিয়ান-ইউএস বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে। ভ্যাকসিন কূটনীতি সহযোগিতার মাধ্যমে অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী হয়েছে। মহামারি প্রতিরোধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মালয়েশিয়াকে ফাইজার-বায়োএনটেক কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের এক মিলিয়ন ডোজ সহায়তা করেছে।
তিনি বলেন, প্রতিরক্ষায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত প্রচুর সহায়তা দিয়েছে, যার মধ্যে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদান সহায়তা রয়েছে। মালয়েশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সুসম্পর্ক এবং সকল ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার
রয়েছে। অর্থনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- মালয়েশিয়ার সিনিয়র প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাতুক সেরি হিশামুদ্দিন তুন হুসেইন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন আবদুল্লাহ।
প্রধানমন্ত্রী উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার প্রয়াসে মালয়েশিয়ায় তার প্রথম সফরের জন্য পেলোসি এবং তার প্রতিনিধি দলকে ধন্যবাদ জানান।
এদিকে পেলোসি বলেছেন, তিনি এবং তার উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিনিধি দল মালয়েশিয়াকে নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক।
পেলোসি বলেন, মালয়েশিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে আমাদের ৬০ বছরের বেশি সম্পর্ক রয়েছে। আমরা সেই সম্পর্কটিকে মূল্যায়ন করি।
সফরসূচির অংশ হিসেবে দুপুরে সংসদ ভবনে দেওয়ান রাকয়াতের স্পিকার তান শ্রী আজহার আজিজান হারুনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন পেলোসি ও তার প্রতিনিধি দল।
১৯৫৭ সালে ব্রিটেন থেকে মালয়েশিয় স্বাধীনতার পর যুক্তরাষ্ট্র মালয়েশিয়ার সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে মালয়েশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম বৈশ্বিক বাণিজ্য অংশীদার এবং রপ্তানি গন্তব্য, যেখানে মালয়েশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ১৭তম বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার।
কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের পর চ্যালেঞ্জিং বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও দুই দেশের মধ্যে মোট বাণিজ্য বছরে ২১.৪ শতাংশ বেড়ে ২০২১ সালে ২১৭.১০ বিলিয়ন রিঙ্গিত ৫২.৩৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..