×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৮-০৩
  • ৫৬ বার পঠিত
অন্যান্য খাতে ভর্তুকি সমন্বয় করে সারসহ কৃষি উপকরণে ভর্তুকি বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষক সমিতির নেতারা। তারা বলেছেন, জাতীয় আয়ে কৃষক সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখে। এই জাতীয় বীর কৃষককে রক্ষা করার জন্য অবিলম্বে ইউরিয়া সারের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করতে হবে। সারের ডিলারদের সিন্ডিকেট ভেঙে বিএডিসির মাধ্যমে সারসহ সব ধরনের কৃষি উপকরণ বিতরণ করতে হবে।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়। কৃষক সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম এ সবুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে ইউরিয়া সারের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ৪ আগস্ট থেকে আগামী ১০ আগস্ট সারা দেশে জেলা-উপজেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা করা হয়। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।  

সংগঠনের নির্বাহী কমিটির সদস্য মানবেন্দ্র দেবের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তৃতা করেন কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, সহ-সভাপতি নিমাই গাঙ্গুলী, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হোসেন খান, সহ-সাধারণ সম্পাদক আবিদ হোসেন ও সহ-সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত শফি চৌধুরী।

সমাবেশে নেতারা বলেন, কৃষক ফসল উৎপাদন করে বাজার সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে সার-বীজ-কীটনাশক-সেচ বেশি দামে ক্রয় করে নিয়মিত লোকসান দিয়ে আসছে। কৃষি উৎপাদনের অন্যতম উপকরণ সার, এই সারের ডিলাররা অতি মুনাফার লোভে সংকট সৃষ্টি করে কৃষকের কাছে বেশি দামে সার বিক্রি করে। এরই মধ্যে সরকার ১৬ টাকা কেজির ইউরিয়া সার ৬ টাকা বৃদ্ধি করে ২২ টাকা করেছে। শতকরা হিসেবে প্রায় ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধিতে কৃষকের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে।  

নেতারা আরো বলেন, আগামী বোরো মৌসুমে অতিরিক্ত দামে সার ক্রয়ের দুশ্চিন্তায় অনেক কৃষক ধান উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হচ্ছে। সরকারি সার কারখানাগুলোর উৎপাদনক্ষমতা দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। ফলে আমদানিনির্ভরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চট্টগ্রাম সার কারখানা ইতোমধ্যে উৎপাদন বন্ধ করেছে। আশুগঞ্জ সার কারখানাও পুরনো যন্ত্রপাতি দিয়ে উৎপাদন প্রায়ই বন্ধ রাখতে হয়।

নেতারা আগামী ৪-১০ আগস্ট সারা দেশে কৃষক সমিতির উদ্যোগে জেলা-উপজেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের জন্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat