বেশ কয়েকজন রুশ সেনা তাদের কমান্ডারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন, যুদ্ধ করতে অনীহা প্রকাশ করায় তাদের আটকে রেখে অমানবিক শাস্তি দিয়েছেন তাদের কমান্ডাররা।
সেনাদের নিয়ে কাজ করা রাশিয়া ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানের আইনজীবী ম্যাক্সিম গ্রেবেনাইয়ুক বলেছেন, এখন পর্যন্ত চারজন সেনা লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানিয়েছেন, যুদ্ধ করতে অনীহা প্রকাশ করায় অমানবিক শাস্তি পাওয়া ৭০ জন সেনার তালিকা তাদের হাতে এসেছে। সবমিলিয়ে প্রায় ১৪০ জন সেনা অমানবিক শাস্তি ভোগ করেছেন।
গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ১ আগস্ট রাশিয়ার প্রসিকিউটরদের কাছে পাঠানো একজন সেনা তার লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, ফের যুদ্ধের ময়দানে না যেতে চাওয়ায় তাকে এক সপ্তাহ রুশদের দখলে থাকা লুহানেস্কের বিভিন্ন জায়গায় আটকে রাখা হয়েছিল।
ভাদিম (ছদ্ম নাম) নামের ওই সেনা বলেছেন, আমার কমান্ডারদের ভুল কৌশল এবং মানুষের জীবনের প্রতি তীব্র উপেক্ষার কারণে, আমি যুদ্ধের ময়দানে ফেরত না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই।
তিনি জানান, তাকে ১৯ জুলাই আটক করা হয়। একটি রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে তার ইউনিটের আরও ২৫ জন জন সেনা ছিল। তাদের কাউকে কোনো খাবার দেওয়া হয়নি।
তিনি আরও জানান, এরপর তাকে লুহানেস্কের ব্রায়ানস্কে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একটি পুরনো স্কুল ও বর্তমান সেনা ঘাঁটিতে রাখা হয়।
যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানানো এ রুশ সেনা আরও জানান, তারা যেন না পালাতে পারেন সেজন্য কুখ্যাত ওয়েগনার ফোর্সের সেনাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাদের বলা হয় যদি কেউ পালানোর চেষ্টা করে তাহলে তাকে শত্রু হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং দেখামাত্র গুলি করা হবে।
তিনি আরও জানান, তাদের মাত্র এক বেলা দুপুরে খাবার দেওয়া হত।
এ সৈনিক দুইজন কর্ণেল ও একজন মেজরের শাস্তি দাবি করেছেন।
সূত্র: আল জাজিরা
এ জাতীয় আরো খবর..