বিশ্বব্যাপী হৃদরোগের প্রাদুর্ভাব যেন মহামারির আকার ধারণ করেছে। আমাদের দেশও এর ব্যতিক্রম নয়। ফলে হৃদরোগ প্রতিরোধে দক্ষ পেশাজীবী চিকিৎসক তৈরির বিকল্প নেই।
শনিবার বগুড়ার মোমো ইন হোটেলে কার্ডিওভাস্কুলার কনফারেন্সে প্রধান অতিথিদের বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) বগুড়ার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোস্তফা আলম নান্নু।
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) এবং ইসিজি স্টাডি গ্রুপের সহযোগিতায় প্রায় আড়াই শ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এবং পেশাজীবী চিকিৎসকদের নিয়ে আইপিডিআই ফাউন্ডেশন এই কনফারেন্সের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে ঢাকার প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা তাদের বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং সেই সঙ্গে উত্তরবঙ্গের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে কেস রিপোর্ট উপস্থাপন করেন।
কনফারেন্সে শজিমেকের ক্যাথল্যাবে হৃদরোগের আধুনিক পরীক্ষা এনজিওগ্রাম এবং এনজিওপ্লাস্টি প্রশিক্ষণ প্রদান এবং ক্যাথল্যব থেকে তা সরাসরি প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী। ডা. আরিফুর রহমান সজলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল শাফী মজুমদার, শজিমেকের অধ্যক্ষ রেজাউল আলম, শজিমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মহসিন ও হৃদরোগ বিভাগের প্রধান ডা. শহীদুল হক।
কনফারেন্সে উত্তরবঙ্গে হৃদরোগ চিকিৎসায় অসামান্য ভূমিকা রাখায় দেশের প্রথিতযশা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. নওয়াজেশ ফরিদ, অধ্যাপক ডা. এ কে এম হানিফ চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. মমতাজ হোসেন, অধ্যাপক ডা. আবুল হোসেন ও অধ্যাপক ডা. গোলজার আহমেদ মিনাকে বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়।
আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারি জেনারেল ডা. মহসীন আহমদ কনফারেন্সে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই হেলদি হার্ট হ্যাপি লাইফ অর্গানাইজেশনের (হেলো) একটি সহযোগী সংগঠন হিসেবে আইপিডিআই ফাউন্ডেশন দেশব্যাপী দক্ষ পেশাজীবী তৈরির লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে এসেছে। জনগণের মধ্যে হৃদরোগ বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে হেলো-আইপিডিআই ফাউন্ডেশন তাদের জনহিতৈষী কর্মকাণ্ডের জন্য ইতোমধ্যেই ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশনের পূর্ণ সদস্যপদ অর্জন করেছে।
এ জাতীয় আরো খবর..