দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে রবিবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে এই সংলাপ শুরু হয়।
এতে সভাপতিত্ব করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আর এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বে দলটির ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল উপস্থিত রয়েছেন।
এনডিএম ছাড়া আরো তিনটি দলের সঙ্গে আজ সংলাপ করবে ইসি।
আজ কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বসার কথা রয়েছে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট—বিএনএফ, বিকেল আড়াইটা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বাংলাদেশ কংগ্রেস ও বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বাংলাদেশ মুসলিম লীগ—বিএমএলের সঙ্গে সংলাপের সময় নির্ধারিত রয়েছে। অন্য দলগুলোর মধ্যে আগামী ২০ জুলাই বিএনপি এবং ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপের তারিখ রাখা হয়েছে।
আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ চলবে। এতে নির্ধারিত কোনো আলোচ্যসূচি থাকছে না। রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ নিবন্ধিত দলগুলোর একাংশ এই সংলাপে অংশ নেবে না বলে আগেই আভাস মিলছে।
এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট অনেকে বলছেন, কমিশন এ সংলাপ থেকে কী অর্জন করতে চাচ্ছে, সেটিও স্পষ্ট নয়। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রতিটি নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে থাকে। এ কমিশনও সেই ধারা অব্যাহত রাখছে।
নির্বাচন কমিশন থেকে আগেই জানানো হয়েছে, প্রতিটি দল থেকে ১০ জন করে প্রতিনিধি অংশ নিতে পারবেন। সংলাপে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির জন্য দুই ঘণ্টা করে সময় রাখা হয়েছে। অন্য দলগুলো সময় পাবে এক ঘণ্টা করে।
এ সংলাপে নির্বাচন কমিশনের প্রত্যাশা কী—এ প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘কমিশনের কাছে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যাশা কী, তা জানার জন্যই এই সংলাপের আয়োজন করা হয়েছে। আমরা দলগুলোর বক্তব্য শুনব এবং আমরাও আমাদের মতামত জানাব। এ ধরনের সংলাপ চলমান থাকবে। সংলাপে যাঁরা আসবেন তাঁদের চাহিদার কথা যেমন জানব, তেমনি যাঁরা আসবেন না তাঁদের সঙ্গেও পরে আলোচনার চেষ্টা করব। এ বিষয়ে আমাদের আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টার কোনো ঘাটতি থাকবে না।
এ জাতীয় আরো খবর..